৮ দেশের ফ্লাইটে ইলেকট্রনিক্স বহনে নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৭, ১২:১০ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তুরস্ক ও মিসরসহ মুসলিমপ্রধান আট দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানযাত্রীদের কেবিন ব্যাগে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মতো বড় আকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে স্মার্টফোন বহন করা যাবে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি ও এএফপি জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আট মুসলিমপ্রধান দেশের ১০টি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ৯টি এয়ারলাইন্স এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৩টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ও সংশ্লিষ্ট দেশের বিমানবন্দরগুলোতে আগামী ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলো।

নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ওই দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটের যাত্রীরা কেবিন ব্যাগে কোনো ধরনের বড় ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন—ল্যাপটপ, ট্যাব, ক্যামেরা, ডিভিডি প্লেয়ার ও ইলেকট্রনিক গেমস খেলার যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবেন না।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া বিমানবন্দর

-মোহাম্মেদ ভি ইন্টারন্যাশনাল, কাসাব্লাংকা, মরক্কো

-আতাতুর্ক বিমানবন্দর, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক

-কায়রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, মিসর

-কুইন আলিয়া ইন্টারন্যাশনাল, আম্মান, জর্ডান

-কিং আবদুলআজিজ ইন্টারন্যাশনাল, জেদ্দা, সৌদি আরব

-কিং খালিদ ইন্টারন্যাশনাল, রিয়াদ, সৌদি আরব

-কুয়েত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট

-হামাদ ইন্টারন্যাশনাল, দোহা, কাতার

-দুবাই ইন্টারন্যাশনাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত

-আবুধাবি ইন্টারন্যাশনাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, দেশের বাইরে থেকে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওই দেশগুলোর বিমানবন্দরে নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা কতদিন বলবৎ থাকবে, তা জানানো হয়নি।

সরাসরি প্রভাবিত হবে যেসব এয়ারলাইন্স

-রয়্যাল জর্ডানিয়ান

-ইজিপ্ট এয়ার

-টার্কিশ এয়ারলাইন্স

-সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স

-কুয়েত এয়ারওয়েজ

-রয়্যাল এয়র মারক

-কাতার এয়ারওয়েজ

-এমিরেটস

-ইতিহাদ এয়ারওয়েজ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই আট দেশের ১০ বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে অন্তত ৫০টি ফ্লাইট ছেড়ে যায়। এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করে এমিরেটস, ইতিহাদ ও টার্কিশ এয়ারলাইন্সসহ ৯টি এয়ারলাইন্স।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: