দিনাজপুরের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তেজপাতা চাষ

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৭, ১২:০৬ পিএম

দিনাজপুর থেকেঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ তেজপাতা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে কৃষক রকিবুল। এই তেজপাতা চাষ অন্যান্য কৃষকের মাঝেও আলোড়ন তুলেছে। তেজপাতা চাষ জনপ্রিয় আবাদে পরিণত হচ্ছে এ উপজেলায়। তেজপাতার বাগান করছেন দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় ৩নং আংগারপাড়া গ্রাম পাকের হাটের রকিবুল হোসেন নামে এক কৃষক। ৬০ শতাংশ জমির উপরে ৪০০টি চারা যার মূল্য প্রতি চারা ১৫০ টাকা হিসাবে ৬০ হাজার টাকার মোট পুঁজি লাগান।

এই জমিতে সাথী ফসল হিসাবে ধনিয়া পাতা ৪০ হাজার ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ হাজার টাকা গত বছর বিক্রি করে। তেজপাতা দু’বার ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে। তার এই আবাদ লাভ দেখে আর এক কৃষক লৎফর রহমান তিনি ১০ শতাংশ জমিতে ১৪০টি ‘তেজপাতা চারা লাগায়। ৪নং খামার পাড়া ইউপির গ্রাম ডাঙ্গাপাড়া আদিবাসী সাওতাল শিরিল মুর্মু নামে তেজপাতার চারা ইউপির কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলীর সহোযোগিতায় তিনি ৭৫ শতাংশ জমিতে ২১৭টি চারা লাগান। এই দুই বছরে তেজপাতা বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকারও বেশি।

এই আবাদে খরচ কম, লাভও হয় বেশি। প্রথম দিকে এলাকার কৃষক এই আবাদকে প্রাধান্য দিত না। এই দুই বছরে কৃষক তেজপাতার আবাদ করার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এ আবাদে পরিশ্রম, খরচ, সার, কীটনাশক খরচ কম, রোগবালাই খুবই কম। মজনু মিয়া একজন কৃষক তিনি বলেন তেজপাতা আবাদ করা খুবই সহজ। অন্য আবাদের মতো ব্যয়বহুল নয়। ইতিমধ্যে পাঁচপীর আদিবাসী পাড়ায় পিয়ন মুর্মু ৪০ শতাংশ জমিতে ২১৭টি তেজপাতা চারা গাছ লাগায়। ৪নং খামার পাড়া ইউপির গ্রাম বালাপাড়া আইজার শাহ নামে কৃষক এই আবাদ দেখে ১০শতাংশ জমিতে ২০০টা চারা রোপণ করে।

কৃষি কর্মকর্তা এজামুল হক বলেন তেজপাতা মশলা জাতীয় ফসল। যার চাহিদা বছরের সব মাসেই থাকে। নিয়মমাফিক তেজপাতা চাষ করলে চাষি অনেক বেশি লাভবান হতে পারে। যা অন্য ফসল আবাদের তুলনায় পরিশ্রম কম, খরচ, কম, সেচ, কীটনাশক খরচ ও কম। তেজপাতা সম্পর্কে কৃষিদের মাঠ পর্যায়ে সচেতনতাও প্রচার করলে তেজপাতা আবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: