খুনের পর খোঁজ নেন আরিফার মৃত্যু হয়েছে কি না
যমুনা ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুন্নেছা আরিফাকে গত ১৬ মার্চ সকালে কলাবাগানের বাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে রবিন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই দুপুর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) একটি দল রবিনকে ধরতে অভিযান শুরু করে। কিন্তু তার ফোন ও ফেসবুক বন্ধ থাকায় গোয়েন্দারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিনের কোন খোঁজ না পেয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের দিন সকাল ১১টার দিকে ঢাকা ছেড়ে জামালপুরে এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন রবিন। আরিফা মারা গেছে কি না তা জানতে ফোনে খোঁজ নেন। এরই সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ জামালপুরে গেলে তাকে না পেয়ে চলে আসে।
এরপর গত ২০ মার্চ রবিনের বড়ভাই লিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার খালাকেও নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে ইসলামপুর, ধনবাড়ি অভিযান চালিয়ে না পেয়ে টাঙ্গাইলের ঠিকানায় খোঁজা শুরু হয় তাকে। পরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল নলনা বাজারের চারিশিমুল গ্রামের একটি ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় রবিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে আরিফাকে হত্যার পর রবিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন কেন? জানতেই চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রবিন জানিয়েছে ছুরিকাঘাত করার পর তার ধারণাই ছিল না যে আরিফার কি ক্ষতি হয়েছে। ঢাকা থেকে পালিয়ে জামালপুরে গিয়ে তার ফোনটি একবার খুলেছিল আরিফার অবস্থা জানার জন্য।
উল্লেখ্য, ছাত্র জীবন হতেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের। ২০১২ সালে তারা পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করে। ভূল বুঝাবুঝির কারণে ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরে গত ১৬ মার্চ সকালে আরিফাকে কলাবাগানের বাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর হতেই রবিন পলাতক ছিল।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: