শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ‘গুজব’

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪, ০৫:৫৪ পিএম

ঢাকা: শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এনএসআই’র যুগ্ম-মহাপরিচালক আবু সাঈদ রায়হান।

তিনি বলেন, “ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকিও দেখা গেছে কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি বা শরীরের মতো কিছু দেখা যায়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব।” এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শুধুই গুজবে মেতেছিল গোটা বাংলাদেশ।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, ক্যামেরা নামিয়ে পাইপে শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি। তবে পাইপের তলায় জমে থাকা গার্বেজগুলো উঠিয়েও পরীক্ষা করা হবে। শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

তবে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের ৬৭২ ফুট নিচে বোরহোল ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাত পৌনে ৩ টার দিকে এ কথা জানান দায়িত্বরতরা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই। তারপরও পাইপের নিচে যে আবর্জনা আছে সেগুলো তুলে আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো।

তিনি বলেন, ‘জীবন-মরণের কথা শুনে আমরা এখানে ছুটে এসেছি। যারা দক্ষ তাদেরকে আমরা হেলপ করতে বলেছি। অনেকেই আমাদের সাহায্যও করেছেন। ফায়ার সার্ভিসও প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাইপের মুখ খোলা থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমরা এসেছি ছেলেটিকে উদ্ধার করতে। পাইপের মুখ খোলা থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে রেল মন্ত্রণালয়। তবে পাইপে কোনো মানুষ নেই, সেটা ক্যামেরায় দেখা গেছে। এটা আসলে গুজব হতে পারে।

যদিও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মী মনির হোসেন রাত পৌনে ১২ টার দিকে জানিয়েছিলেন, শিশু জিহাদের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। জুস পাঠানোর পর জিহাদ বলেছিল সে একটুখানি জুস খেয়েছে। উপর থেকে দড়ি ফেলার পর সে বলেছিল, ‘আমি ধরতে পারছি না’।

জিহাদ বেঁচে আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মনির হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি পাইপের ভেতর থেকে অস্বাভাবিক কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

তিনি জানান, উদ্ধার কাজের প্রথম দিকে স্থানীয়রা উপর থেকে ভেতরে দড়ি ফেলায় সেগুলো ভেতরে পড়ে গিয়ে আরো কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।

উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে জিহাদ নামে সাড়ে তিন বছরের শিশুটি পড়ে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: