কে এই এসআই মাসুদ?
ঢাকা: এক সময়ের মিডিয়া কর্মী বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বিকে নির্যাতনকারী এসআই মাসুদ শিকদার। এই গ্রামের মানুষও তার এবং তার ভাইদের কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাদের দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহারে এলাকার মানুষ তটস্থ হয়ে থাকেন সব সময়।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের সোয়াইতপুর এলাকায় মরহুম সিরাজ আলী শিকাদারের তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয়া আব্দুল্লা। পুলিশের চাকরি নিয়ে পরিচিতি পান মাসুদ শিকদার নামে।
পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগদান করে প্রায় ১৪ বছর আগে বিবাহ করেন পাশ্ববর্তী সোয়াইতপুর পূর্বপাড়া গ্রামে ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচিত আনসার ডাকাতের মেয়ে রুমাকে। শশুরের ডাকাত পুলিশ খেলা দেখতে দেখতে পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিভুত হয় মাসুদের। সেইখান থেকেই মূলত আজকে মাসুদ শিকারের উত্থান।
গ্রামের অস্বচ্ছল কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়া মাসুদ পুলিশের চাকরি নিয়ে অল্পদিনের মধ্যে হয়ে উঠেন বিশাল বৃত্তের মালিক। গ্রামের বাড়ীর সঙ্গে সঙ্গে বাজারের বিশাল এরিয়া নিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল করা মাসুদের রাজ্য। ছুটিতে বাড়ী গেলে সেখানে বসাতেন তার দরবার। সেই সঙ্গে বন্ধুদের নিয়ে মত্ব হতেন নাচগানে।
অভিযোগ শত শত থাকলেও পুলিশের উপ-পরিদর্শক হওয়ায় এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে থানা নালিশ তো দূরের কথা আশপাশের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলতে সাহস করতে পারতেন না। মাসুদ ছাড়া তার ভাইদের রাজত্ব ছিলো সোয়াইতপুরে।
জানা গেছে, মাসুদ গ্রামের উঠতি বয়সের তরুণদের একটি গ্রুপকে দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি, মাদকের ব্যবসা করত। সেই যুবকদের নিয়ে আবার ঢাকায় বিশেষ বিশেষ স্থানে চাঁদা আদায় করত। তার একান্ত সহযোগী হিসেবে গ্রামের গেলেই সঙ্গে থাকতো সাত আট জন যুবকের একটি গ্রুপ। তাদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোকও থাকতো যাদের এলাকায় আগে পরে কখনো দেখা দেতনা।
সোয়াইতপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, মাসুদ শিকদারের ভাই দম্ভোক্তি করে বলছে, আমার ভাইয়ের কিছুই হবে না, তাকে ক্লোজড করা হয়েছে মিডিয়াকে দেখানোর জন্য, তার হাত অনেক বড় লম্বা, কয়েকদিন পর সব আগের মতো হয়ে যাবে।
ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বিকে নির্যাতন ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন এলাকাবাসী। এঘটনা জানাজানির পর থেকে সোয়াইতপুর গ্রামসহ গোটা উপজেলা জুড়েই ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মাসুদের ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেছেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: