দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট
রাজধানীর একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও মামলাটি বিচারের জন্য কেন দায়রা আদালতে পাঠানো হয়নি। সে বিষয়ে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া রংপুর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে তা শিশু মামলা হিসেবে কেন গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে রংপুরের এক বিচারকের কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।এ দুই মামলায় দুই আসামীর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ আদালত এ আদেশ দেন।আগামী দশ দিনের মধ্যে উভয় বিচারককে তাদের কাছ থেকে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মনিরুজ্জামান কবির।আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সংরক্ষিত ক্যাশ রুমে খুন হন বুকিংসহকারী ইস্রাফিল হোসেন। এ ঘটনায় ওইদিনই স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামী তালেবসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে তালেব জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে গত বছরের ২২ নভেম্বর তা খারিজ করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে তালেব হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্যদায়রা আদালতে যাবে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মামলাটি দায়রা আদালতে পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে দশ দিনের মধ্যে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর রংপুরের পীরগাছায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী ৫২ বছর বয়সী এক প্রতিবেশী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মেয়ে পীরগাছা থানায় ঘটনার দিনই মামলা করে।মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এ মামলায় গত ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন দেলোয়ার নামের এক আসামি। এরপর তিনি জামিন আবেদন করলে এবছরের ১৩ জানুয়ারি রংপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মো. রোকনুজ্জামান জামিন আবেদন না মঞ্জুরকরে আদেশ দেন। এরপর দেলোয়ার হাইকোর্টের জামিন আবেদন করেন।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান কবির বলেন, এজহার অনুসারে আসামির বয়স ৫২ ও কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। আসামির বয়স৫২ বছর হওয়া স্বত্ত্বেও জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি শিশু মামলা হিসেবে (শিশু মিছ কেস-১৬৮/২০১৫) গ্রহণ করেবিচারক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাটি কোন কতৃত্ববলে শিশু মামলা হিসেবে গ্রহণ করলেন সে বিষয়েদশ দিনের মধ্যে ওই বিচারককে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: