২৮৮০ সালের ১৬ মার্চে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী!

২৮৮০ সালের ১৬ মার্চে গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ১৯৫০ ডিএ নামের একটি গ্রহাণুর সত্যিই ওই তারিখে পৃথিবীতে আঘাত হানার আশংকা রয়েছে।
তবে এ কথাটি পড়েই চমকে ওঠার কারণ নেই। কারণ হিসাব অনুযায়ী এ গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার মাত্র ০.৩ শতাংশ আশংকা রয়েছে। তবে এতে পুলকিত হওয়ারও কিছু নেই।
কারণ অন্য অনেক গ্রহাণুর চেয়ে পৃথিবীতে এর আঘাত হানার আশংকা ৫০ ভাগ বেশি। এবার বোধহয় আশা-নিরাশার দোলাচলে পড়ে যাবেন অনেকেই। সে দলে আমিও আছি নিশ্চিতই ধরে নিতে পারেন।
ঘটনাক্রমে যদি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানে তা হলে তা হলে কি হবে? হ্যাঁ সে ক্ষেত্রে গ্রহাণুটি ৪৪,৮০০ মেগাটন টিএনটি’র ক্ষমতা নিয়ে আঘাত হানবে। আর এক মেগাটন মানে ১০ লাখ টন সে কথা অনেকেরই জানা আছে। তা হলে ৪৪,৮০০কে ১০ লাখ গুণ করলে সংখ্যাটি দাঁড়াবে বিশাল।
১৯৫০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম আবিষ্কৃত হয় গ্রহাণু ১৯৫০ ডিএ। ১৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর এটি অর্ধশতকের জন্য দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়। ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবার তাকে দেখতে পাওয়া যায়।
পৃথিবীমুখী কক্ষপথ ধরে এটি সেকেন্ডে ১৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে। এ গ্রহাণুর ব্যাসার্ধ প্রায় ১০০০ মিটার এবং এটি ২ ঘণ্টা ৬ মিনিটে আবর্তিত হচ্ছে।
এ গতিতে ঘোরার কারণে গ্রহাণুটির ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার কথা । কিন্তু এখনো তেমন কিছু ঘটেনি বা ঘটার কোনো আভাসও পাওয়া যায় নি।
পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এটি ঘণ্টায় ৩৮ হাজার মাইল বেগে আছড়ে পড়তে পারে আটলান্টিক মহাসাগরে। এ ঘটনাটি ঘটতে পারে ২৮৮০ সালের ১৬ মার্চ।
তা হলে কি ঘটবে? হ্যাঁ সুদূর অতীতেও পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এমন বিশালাকায় গ্রহাণু। প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে এরকম এক গ্রহাণুর আঘাতেই পৃথিবীর বুক থেকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ডায়নোসোর!
যদি সত্যিই ৮৬৭ বছর পর পৃথিবীতে আঘাত হানে গ্রহাণু ১৯৫০ ডিএ তা হলে মুছে যাবে মানব সভ্যতা।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: