টাঙ্গাইলের সালমা খাতুনের বেতন ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা!
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সালমা খাতুনের বেতন ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ! এ খবরে হৈ চৈ পড়ে গেছে চারিদিকে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও দেখতে আসছেন তাদের শিক্ষিকাকে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, টাঙ্গাইলের এমপিওভুক্ত এক হাইস্কুলের সহকারি গ্রন্থাগারিকের বেতন হয়ে গেছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভুলে ঘটেছে এমন ঘটনা। সালমা খাতুন নামের এই গ্রন্থাগারিক টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের মাটিকাটা এম এল হাইস্কুলে চাকরি করেন। ওই গ্রন্থাগারিকের প্রকৃত বেতন ৮ হাজার টাকা। তার জানুয়ারি মাসের বেতন হিসেবে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
চলতি মাসে অর্থ ছাড় করার শেষ পর্যায়ে বিষয়টি নজরে আসে অধিদপ্তরের। তবে এমপিও’র টাকা বরাদ্দে অসঙ্গতির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি মাসে কমপক্ষে এমন আরো ৬টি ঘটনা ঘটেছে। একটি চক্র পরে এ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভগি করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য টাঙ্গাইলের ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলছে অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর এলিয়াস হোসেন বলেন, সার্ভার থেকে আমরা তথ্য নিয়ে দেখেছি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ঘরে সে অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখেছে। আবার এরিয়ারে কত অ্যামাউন্ট হবে সেটার একটা কলাম ছিলো, সেখানেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিখে দিয়েছে। ‘যেহেতু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ছিলো ৩৪০৩৮৪৭৮ অর্থাৎ আট ডিজিট থাকার কারণে এটা কোটি টাকা হয়ে গেছে। মূলত অসাবধানতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।’
এলিয়াস হোসেন আরো বলেন, ব্যাংক যখন আমাদের জানিয়েছে যে এত টাকা এরিয়ার আসল, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকে চিঠি দিয়ে বন্ধ করিয়েছি। এখন তদন্ত প্রক্রিয়া শেষের দিকে, আমরা এখন সার্ভারের রিপোর্টগুলোসহ একটা রিপোর্ট জমা দিব। এরপর টাকা ফেরত নেওয়ারও চিঠি প্রশাসন দিচ্ছে। এ ঘটনার পর কম্পিউটার সফটওয়ারের বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: