লন্ডনের ঠিকানায় পৌছানো হয়েছে কিনা জানতে চায় হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৬:১৯ পিএম

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থপাচার মামলার সমন জারির চিঠি লন্ডনের ঠিকানায় পৌছানো হয়েছে কিনা তা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়টি আদালতকে নিশ্চিত করতে ঢাকা চীফ ম্যাট্টোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে। দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান এ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রোববার এ আদেশ দেন।

অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং)মামলায় তার খালাস পাওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেননি বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এরপর গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১২ জানুয়ারি তারেকের বিরুদ্ধে সমনে নোটিশ জারির আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্স্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিনন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে ওই টাকা লেনদেন হয়। এর পর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার একাউন্টে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিনকোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন । পরে ক্যান্টমেন্ট থানায় তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০১৩ সালে তারেক রহমানকে খালস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের সাজা ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: