বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড
যৌতুকের দাবীতে ২য় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর বিচারক বেগম মমতাজ পারভীন। সোমবার জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক এ রায় ঘোষনা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত নাসির উদ্দীন খাঁ (৫৩) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গোফ্ফার খাঁ এর ছেলে। এ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর ১ম স্ত্রী সালমা বেগম ও দুই সহোদর মছির উদ্দীন খাঁ এবং আব্দুস সামাদ এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
বিজ্ঞ সরকারী কৌশলী সূত্রে জানা গেছে, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হুদাবালা গ্রামের মফছের আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম ওরফে শিরি (৩০) কে ২য় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ১০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবীতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ও তার ১ম স্ত্রী সালমা বেগম প্রায়ই নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম মমতাজ বেগম ওরফে শিরিকে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
খবর পেয়ে শিরির পিতা ঘটনাস্থলে এসে দেখার পর তার সন্দেহ হয় আসামীরা তার মেয়েকে হত্যা করেছে। এব্যাপারে পরদিন শিবগঞ্জ থানায় চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে এস আই আতিয়ার রহমান মোল্লা ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১ নভেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে সাক্ষী শুরু করেন। এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। দীর্ঘ দেড় যুগ মামলা চলার পর সোমবার বিজ্ঞ আদালত এ রায় ঘোষনা করেন। নিহত ভিকটিম মমতাজ বেগম শিরির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট মো: আশেকুর রহমান সুজন এবং আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: