মায়ের ভাবনায় অটিজম
দীর্ঘ ৯ মাস মাতৃগর্ভে থাকার পর মায়ের কোল আলো করে জন্ম নেয় এক ফুট ফুটে সন্তান। কত স্বপ্ন কত আশা আকাঙ্ক্ষা সেই সন্তাকে নিয়ে মা-বাবার। কিন্তু মাত্র দু’মাস বয়স থেকেই তার জন্মগত অস্বাভাবিক বোধগাম্য হলো।
মা-বাবার সব স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা থেমে গেল, শুরু হলো আদরের সন্তানকে নিয়ে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই। জন্মগত নানাবিধ শারীরিক গঠন ও ক্রুটি থাকা সত্বেও স্বাভিকভাবে তাকে বেঁচে থাকার চেষ্টায় সচেষ্ট প্রতিনিয়ত। বয়স ৫ বছর হতে সমবয়সী সকল শিশুর মত তাকেও দেয়া হলো স্কুলে। কিন্তু তখন থেকেই অন্য বন্ধুদের তুলনায় পিছিয়ে থাকাটা সে নিজেই উপলদ্ধি করতে শুরু করল। অন্য বন্ধুদেরর মত সে পড়তে পারে না। পারে না ভাল করে কথা বলতে, পারে না ভাল করে লিখতে এমনকি তার কথাও ভাল করে কেউ বুঝতে পারে না। সে সকলের সাথে তার মত করে মিশতে ও চলতে চায়। কিন্তু তার স্বাভাবিক আচরণ অন্যরা মানতে পারে না। তখন থেকেই শুরু হয় স্কুলের প্রতি অনিহা।
অটিস্টিক বা বিশেষ চাহিদায় শিশুদের ধরন ভিন্ন ভিন্ন। তাদের ভিন্ন আচরণ ও অভিব্যক্তি। স্বাভাবিক শিশুদের সাথে তুলনামূলকভাবে তার পিছিয়ে থাকা সব সময়। তবে তার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন, গুরুত্ব ও মনোবল পেলে তারাও হয়ে উঠতে পারে তুলনাহীন। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে স্বাভাবিক অনেক শিশুই কাঙ্ক্ষিত বা ভাল ফলাফল করতে পারে না। তবে কেমন করে একাই প্রশ্নপত্র অথবা মূল্যায়ন পদ্ধতি, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লেখার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়? শোনা, বলা, পড়া, লেখা এই ৪টি দক্ষতা অর্জনের হার শুধুই কি লেখার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা সম্ভব?
সমাজের মূলধারার সাথে তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অটিস্টিক বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ভর্তি করা হলেও তাদের জন্য নিয়োগকৃত স্পেশালিস্ট শিক্ষক ও পৃথক মূল্যালয়ন ব্যবস্থা থাকা অধিক কার্যকরণ ও ফলপ্রসূ হতে পারে।
এছাড়াও শারীরিক ও বুদ্ধিগত দিক থেকে তারা পিছিয়ে থাকার কারণে সহপাঠী ও শিক্ষকদের নিকট তারা হয়ে উঠে বিরক্তর কারণ। এমন কি কখনো কখনো নানা ধরনের হয়রানির শিকারও হতে হয়। এ কারণে অভিভাবকদের তাদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে হয় সংকিত ও ভীতু সন্ত্রস্ত। ঐকীভূত শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে এ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনাও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া এখন সময়ের দাবি।
লেখক: মেরিনা আক্তার মিতু, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, টাঙ্গাইল সদর
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: