অবশেষে মা ছেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন!

প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০১৯, ০২:০২ এএম
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মহেশপুর গ্রামে রাতের আধারে নিজ বাড়িতে মা ও ছেলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বালু মহাল ও মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে আসামিদের বরাত দিয়ে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৭জনকে আটক করেছে। আটকৃতরা হলো- উল্লাপাড়া উপজেলার পুর্ব মহেশপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৭০), একই গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে রহমত উল্লাহ পান্না (৩৮), ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৭), দুলাল সরকারের ছেলে মনছুর আলী সরকার (২২), শাহজাহান প্রামানিকের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩৫), ওসমান হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৫০) ও আজিজুল হকের ছেলে সাইদুর রহমান বাচ্চু (৩৮)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার আলতাফ হোসেন মুকুলের সাথে মহেশপুর গ্রামের বালু মহাল ও মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে আটককৃত আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ কারণে আসামিরা আলতাফকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার দু-তিন দিন আগে আসামিরা বালু মহালে বসে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে এবং প্রত্যেকে তিন হাজার টাকা করে চাঁদা প্রদান করে। ঘটনার দিন ২৬ জুন বুধবার রাতে আলতাফের ভাগিনাসহ দুজন প্রথমে নিহত আলতাফের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া আরো ৭-৮ জন প্রবেশ করে। প্রথমে আলতাফের ভাগিনা মুকুলকে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে কোপ দেয়। এরপর অন্যান্য আসামিরা আলতাফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। সম্পূর্ণ ঘটনা আলতাফের মা রজিয়া বেগম দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দুজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আবুল কালাম আজাদসহ ৭ জনকে আটক করে। পরে আবুল কালাম হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে এ জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি আরও জানান, আটককৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি চাপতি ২টি ছুরি ও একটি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ, সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান, সিরাজগঞ্জ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দাউদ, উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কওশিক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: