ছেলেধরা সন্দেহে একসাথে ৭জনকে গণপিটুনি

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫৯ পিএম
নওগাঁর মান্দায় রবিবার সকালে ছেলেধরা সন্দেহে ৭ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বুড়িদহ গ্রামে ৬ ও মহানগর স্কুলের সামনে থেকে একজনকে স্থানীয়দের গণপিটুনির হাত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার খাগড়া ফয়েজ উদ্দিন কলেজ এলাকার সাদ্দাম, আসলাম, সাইফুল, আব্দুল মজিদ, আনিছুর, ফারাদপুর গ্রামের রেজাউল করিম এবং মান্দা উপজেলার আবুল কালাম আজাদ। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কুসুম্বা ইউপির বুড়িদহ এলাকার জনৈক পুকুর মালিক রনজিত পুকুরে ছোট মাছ ধরার জন্য ছয় জেলেকে নিয়ে আসেন। চুক্তি ছিল পুকুর মালিক নেবেন মাছের ৭০শতাংশ এবং জেলেরা পাবেন ৩০শতাংশ। সকাল থেকে জেলেরা পুকুরে মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার সময় তারা তিনটি বড় মাছ গোপনে বস্তার মধ্যে রেখে দেন। পরে পুকুর মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের বস্তা দেখতে চাইলে জেলেরা রাজি না হয়ে এক সময় তারা দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। পাড়ার লোকজন ছেলেধরা বলে চিৎকার দিয়ে ধাওয়া করে তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছেলেধরা বিষয়টি গুজব। বাস্তবে তারা নিরীহ জেলে। তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামবাসী ছেলে ধরা গুজবে তাদের ধাওয়া করে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে জালসহ থানায় নিয়ে আসে। অন্যদিকে স্থানীয়রা উপজেলার মহানগর স্কুলের সামনে থেকে আবুল কালাম আজাদ নামে আরেক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তার বাড়ি মান্দার তেঁতুলিয়া গ্রামে। উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই ছেলে ধরা সন্দেহে সারাদেশে অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই গণপিটুনি দিচ্ছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ছেলে ধরা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীসহ সারাদেশে ছেলে ধরা সন্দেহে নারীসহ সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সন্দেহজনক কাউকে দেখলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশে দেয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: