ওষুধ প্রয়োগ করা গরুর মাংস খেলে মানবদেহের যে ক্ষতি হয়

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০২:৪১ এএম
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে গুরুত্বপর্ণ একটি উৎসব হল ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদুল আযহা হচ্ছে ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবে মুসলমানেরা স্ব স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী উট, গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ আল্লাহর নামে কোরবানি করে। এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত আছে। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রামাঞ্চলের খামারিরা এখন পুরোদমে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কোরবানির পশুকে পরিচর্চার জন্য। কিন্তু ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির অসাধু খামারিরা গরুকে মোটাতাজা করার জন্য নিষিদ্ধ ওষুধ প্রয়োগ করেছে। যা মানবদেহের জন্য খুবই ভয়াবহ। গরুকে দ্রুত মোটাতাজা করার জন্য স্টেরয়েড গ্রুপের ওষুধ, যেমন ওরাডেক্সন, প্রেডনিসোলন, ডেকাসন,ইত্যাদি সেবন করিয়ে অথবা ডেকাসন, ওরাডেক্সন স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে গরুকে মোটাতাজা করা হয়। এ ছাড়া হরমোন প্রয়োগ (যেমন ট্রেনবোলন, প্রোজেস্টিন, টেস্টোস্টেরন) করেও গরুকে মোটাতাজা করা হয়। এই সব নিষিদ্ধ ওষুধ মানবদেহের কতটা ক্ষতিকর তা বিডি২৪লাইভকে জানিয়েছেন ডাঃ আল-ওয়াজেদুর রহমান। তার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল- ১) বয়স্ক মহিলা কিংবা পরুষদের ক্ষেত্রে হারের ক্ষয় বাড়তে পারে। ২) অনেক দিন এ রকম ইনজেকশন দেওয়া গরুর মাংস খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। ৩) মহিলারদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড জনিত সমস্যা হতে পারে। ৪) গরুর মতো মানুষেরও ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। আর ওজন বৃদ্ধি পেলে রক্তচাপ বেড়ে যাবে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অনিদ্রা, অস্থিরতাসহ নানা রোগের সৃষ্টি করে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: