‘প্রশাসনের লোক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে আমরা হোঁচট খাই’

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯, ১১:৩১ পিএম
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দেশের ভেতর ও বাহির থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। উন্নয়নের অগ্রগতি রুখতে স্বার্থন্বেষী মহল তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের সব আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সহজ পথটি বেছে নিয়েছেন। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ সরকার বিরোধী লোকজন আছে। এদের মধ্যে সরকারের সমর্থক কেউ গ্রেফতার হন নি।’ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে জি-নাইনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেন, ‘ওনার লেভেল থেকে এ ধরনের বক্তব্য প্রচার হওয়া মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এরকম একটা বিষয়ে সবার যে সহযোগিতা দরকার। কিন্তু তার এমন বক্তব্যের জন্য সেটাকে ব্যহত করে। যদি মনে করেন কেউ সংশ্লিষ্ট আছে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, সে যেই দলেরই হোক না কেন।’ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে উপস্থিত হয়ে ডা. সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন। প্রশাসনের লোকের লোকের মুখে রাজনৈতিক বক্তব্য মন্তব্য করে ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নানা অগ্রহণযোগ্য কথা বলে থাকেন। সেই একই রকম বক্তব্য যাদের দিকে আমরা প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে থাকি, তারা এমন কথা বললে আমরা হোঁচট খাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘রেলমন্ত্রী বলেছিলেন রেললাইনে বিএনপি দুরাবস্থা রেখে যাওয়ার জন্য দুর্ঘটনা হয়েছে। ১৪ বছর আগে বিএনপির রেখে যাওয়া ওই দুরাবস্থার জন্য নাকি রেলে দুর্ঘটনা ঘটে?’ ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তারা অনেক বেশি বেফাঁস মন্তব্য করেন। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলে কেউ এখন আর বিশ্বাস করে না বরং হাস্য রসে তৈরী হয়। সেই কারণে এরকম পদ ধারিদের দিয়ে বলানো ছাড়া সরকারের আর কোন উপায় নাই। সেই কারণে বিষয়টাকে পলিটিক্যাল করার জন্য বা মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার জন্য ব্যার্থতা ঢাকার জন্য এটা করা হয়েছে।’ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গুজবের বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য এখন যেমন আওয়ামী লীগ বলছে, বিরোধী দল বলছে এবং মসজিদে মসজিদে বলা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ যদি আগে নেয়া হতো তাহলে হয়তো এতো লোক মারা যেত না। এই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আজকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া ছাড়া কোন উপায় আছে বলে আমি মনে করি না।’ তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকায় লেখা দেখলাম মানুষের মধ্যে যখন রাগ ক্ষোভ হতাশা এগুোল ঝেকে বসে। আবার মত প্রকাশের পথ থাকে না। তখন যদি আবার গুজবের মতো নানান বিষয় যোগ হয়। তখন তাৎক্ষণিকভাবে মত তৈরি হলে নিজের কন্ট্রোল নিজের কাছে থাকে না। তখন রাগ ক্ষোভের মাধ্যম হিসেবে এরকম গণপিটুনি বা দুঃখ জনক ঘটনা ঘটে। এটা উড়িয়ে দেয়ার মতো কোন কথা না। রাষ্ট্র যখন সুশাসন আইনের শাসন বিচার থাকতো তাহলে হয়তো এতোটা হতো না। মানুষকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এই কুসংস্কার থেকে বের করে আনার জন্য যেরকম শিক্ষা ব্যাবস্থা দরকার ছিলো সেটা আমারা করতে পারি নাই কেন? এই দায়তো পর্যায় ক্রমে যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলেন তাদের সবাইকেই এই দায় নিতে হবে। যারা ১১ বছর ধরে আছেন এদেরকে বেশি নিতে হবে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: