ভুতুড়ে শহর কাশ্মীর

প্রকাশিত: ০৭ আগষ্ট ২০১৯, ১১:৫২ পিএম
৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে কাশ্মীর। এতোদিন ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ কাশ্মীরিদের কাছে বিশেষ মর্যাদার বিষয় ছিল। এ ধরার ফলে বাইরে থেকে কেউ এসে কাশ্মীরে জমি কিনতে পারত না। তাছাড়া সরকারি চাকরি ও বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারত শুধু কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারাই। কিন্তু এ বিশেষ ধারা বাতিলের ফলে এবার থেকে বিশেষ কোন সুবিধা পাবে না কাশ্মীরবাসীরা। এমতাবস্থায় কাশ্মীরে থমথমে পরিস্থিতির বিরাজ করছে। এখন দেখলে মনে হবে কাশ্মীর যেন এক ভুতুড়ে শহর। কোথাও কোন মানুষ নেই। শুধু কতোগুলো ঘড়বাড়ি নিরবে দাড়িয়ে আছে। কোন যানবাহনও নেই। তাছাড়া ওই এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট। স্থানীয় নাগরিকদের কোন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কখনও পড়িনি। এই বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। আমরা টিভি থেকে ঘটনা জেনেছি। আপাতত আমরা শুধু নির্দেশ পালন করছি। বিবিসি জানিয়েছে, কাশ্মীরে এখন টেলিযোগাযোগ ও মিডিয়া ব্ল্যাকআউট চলছে। যার কারণে প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না সংবাদ মাধ্যমেও। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে কাশ্মীরের জনগন যেমন হতাশা তেমনি ক্ষোভে ফুঁসছে তারা। ফলে সেখানে বড় আকারের বিক্ষোভ হতে পরে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদকর্মীদের ওপরও চলছে নানা বিধিনিষেধ। বিবিসির আমির পীরজাদা অনেক কষ্টে লোকজনের সাথে কথা বলতে পেরেছেন। তাদের প্রায় সবার মধ্যেই ক্ষোভ ও ভারত সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এমনটা মনে করছেন। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হতে পারে এই আশঙ্কায় স্থানীয় নেতাদের প্রায় সবাইকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় বাহিনী। তবে তারপরও কিছু জায়গায় বিক্ষোভ ও সেনাদের ওপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতে অবস্থান করছেন এমন কাশ্মীরিরা জানিয়েছেন, তারা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কাশ্মীরে লক্ষাধিক অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। বিবিসি বলেছেন, কাশ্মীর এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিক উপস্থিতিপ্রবণ এলাকায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: