তিন রোহিঙ্গার বাংলাদেশী পার্সপোর্ট, ব্যবহার করেছে নোয়াখালীর ঠিকানা

প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৪ এএম
পার্সপোর্ট তৈরিতে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ঠিকানা ব্যবহার করেছিল আটক তিন রোহিঙ্গা। আটকৃতরা হলেন মিয়ানমারে মংডু জেলার অংচি গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মো. ইউসুফ (২৩), তার ভাই মো. মুসা (২০) ও মো. আজিজ। বর্তমানে তারা সবাই কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হাকিমপাড়ার শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে। আটকৃতদের কাছ থেকে জব্দ করা তিনটি পাসপোর্টে দেখা যায়, মোহাম্মদ ইউসুফ ও মোহাম্মদ মুছার পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর। তাদের বাবার নাম আলী আহমেদ। স্থায়ী ঠিকানা লেখা হয়েছে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজরপুর গ্রাম। মো. আজিজের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি। তার বাবার নাম জামির হোসেন। স্থায়ী ঠিকানা লেখা হয়েছে একই উপজেলা ও ইউনেয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ সেনবাগ গ্রাম। তাদের সবার পাসপোর্টে জরুরি যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বর ও জাতীয় সনদপত্রের নম্বরও দেওয়া আছে। অনেকের অভিযোগ, দালাল চক্র সংশ্নিষ্ট থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ডিএসবি কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এ জালিয়াতি করেছে। সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, সেনবাগের ঠিকানায় তিন রোহিঙ্গা কীভাবে পাসপোর্ট বের করেছে, তা তদন্তের নির্দেশ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপপরিদর্শক গৌর চন্দ্র সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসআই গৌর চন্দ্র সাহা জানান, তিন রোহিঙ্গার পাসপোর্টের ঠিকানা খতিয়ে দেখতে তিনি গত বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়েছেন। ওই ঠিকানায় এমন নামে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই। জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে নথিপত্র যাচাই করা হবে। কীভাবে তারা পাসপোর্টের ক্লিয়ারেন্স পেল, তা খতিয়ে দেখা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: