ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৮ এএম
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, রেলওয়েকে জনগণের কাছে নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। ইলেকট্রিক ট্রেন প্রকল্পের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারি ও সাব- স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। ওই সমীক্ষা প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সমীক্ষা প্রস্তাব পুনর্গঠন করে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। অন্য দিকে ২০১৬ সালের ১৩ মার্চে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর অংশ হিসেবে প্রথমে গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে জয়দেবপুর পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারি ও সাব স্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটনারি ও সাব স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে পুনরায় পিইসি’ সভা হয়। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে সমীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্র্রেন সার্ভিস চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে এবং সে অনুযায়ী বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হবে। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে সবচেয়ে বড় গণপরিবহন। সরকারি সংস্থা হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়নের চেয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি বিবেচনায় এনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সেজন্য ১৯৯২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে রেলওয়ের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেলওয়ের আয় ছিল ৩১১৫ কোটি টাকা, অন্যদিকে ব্যয় ছিল ১৬১৮ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় ১৪৯৭ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। শুধুমাত্র যাত্রী ভ্রমণই নয় রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী স্কুল এবং হাসপাতালের মাধ্যমেও দেশের জনগণ সামাজিক ও নিরাপত্তামূলক সেবা পেয়ে আসছে। যার ব্যয় রেলওয়ে থেকে নির্বাহ করা হচ্ছে। এতে রেলেওয়ের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ২৬ বছরে মাত্র দুই বার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে আয়-ব্যয়ের পার্থক্য পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: