মাদকের সাথে কারও সম্পৃক্ততা পেলে ছাড় দেওয়া হবে না

চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। বুধবার বেলা ১২টায় জেলা পুলিশ লাইনের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেন। বলেন মাদকের বিরুদ্ধে কোন আপোষ নয়। শরীরের শেষ রক্ত দিয়েও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হবে। এ সময় তিনি জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন মাদকের সাথে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেলে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী তার বিচার করা হবে। উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতিও একই বার্তা দেন তিনি। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশিং ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বর্তমান পুলিশ বাহিনী একটি জনবান্ধব বাহিনীতে রুপ নিয়েছে। এখন সাধারণ মানুষকে আর পুলিশের কাছে আসতে হবে না। পুলিশই মানুষের দৌড়গড়াতে যাবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। পুলিশের কাছে বিচার চাইতে এসে কোন মানুষ যেন হয়রানীর শিকার না হয় সে বিষয়েও তৃক্ষ দৃষ্টি রাখা হবে বলে মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা এক সময় রক্তাক্ত জনপদ ছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। কিন্তু আমার কাছে তথ্য আছে-তাদের রক্ষিত কিছু অস্ত্র এখনো আছে সুরক্ষিত। এগুলো নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ করছি। খুব শীঘ্রই ভাল কিছু দেখতে পাবেন আপনারা। এছাড়া যেকোন সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ ও কিশোর গ্যাং যাতে মাথা তুলতে না পারে এজন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মতবিনিময় সভায় জেলার আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ডালিম, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জামান আখতার, ৭১ টেলিভিশনের এম এ মামুন ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ছাড়াও এ সময় বক্তব্য রাখেন, অতি: পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতি: পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) আবুল বাশার, সদর সার্কেলের অতি: পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ ও দামুড়হুদা- জীবননগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল।