যমুনায় চলছে সিপ জাল দিয়ে মাছ শিকার

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১২ এএম
সম্প্রতি কয়েক মাস আগে বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামঞ্চলগুলোর নিম্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে পথ-ঘাট, নদী-নালা ও খাল-বিলসহ পুকুর তলিয়ে যায়। তলিয়ে যায় শত শত হেক্টর ফসলি জমি। যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রতিনিয়ত ভাঙন তো অব্যাহত রয়েছে। এত কিছুর পরেও যমুনা নদীর নতুন পানির আগমনে মাছ ধরার উৎসাহিত মানুষগুলো বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরার আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠতে দেখা যায়। ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের উৎসাহিত মাছ ধরা মো. রহিম মন্ডল বলেন, বিগত ক’মাস আগে ভারি বৃষ্টি ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক পুকুর তলিয়ে গিয়েছিল। এতে করে গ্রামের নিচু জমি ও বিলে মাছ ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই সিপ জাল দিয়ে প্রচুর মাছ ধরছে তা দেখে নিজেও জাল কিনে সিপ জাল বিলে ফেলেছি। মাছ ধরা এক ধরণের শখ ও বিলাসিতাও। অবসর সময়ে সিপ জাল দিয়ে ফাঁদ ফেলে মোটামুটি খাওয়ার জন্য মাছ ধরা যায়। হাট-বাজারে বিক্রি করেও চলে সংসার। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকার গোবিন্দাসী, চিতুলিয়াপাড়া, খানুরবাড়ী, কোনাবাড়ী, ন্যাংরা বাজার, সারপলশিয়া, রেহাইগাবসারা, রুলীপাড়া, সরইপাড়া, কুঠিবয়ড়া, কুকাদাইর, অর্জুনাসহ অনেক গ্রামে অবসর সময়ে সৌখিন মাছ ধরা মানুষগুলো সিপ জাল ছাড়াও কারেন্ট জাল, তিনকোণা (খুইয়া) জাল, বর্শি ও জাঁকি জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরছে। এতে করে ধরা পড়ে বোয়াল, চিংড়ি, বাসপাতারি, চেলা, বাঘাইড়, আইড়, ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির সু-স্বাদু মাছ। এছাড়াও বিলের মধ্য রয়েছে-পুঁটি, টার্কি কৈ, মাগুর, সিং, টেংরা, মিনার কার্প, সরপুঁটি, চিংড়িসহ নাম না জানা বহু প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। যমুনা নদীর রুলীপাড়া গ্রামের মো. জয়ান আলী মন্ডল বলেন, সিপ জাল দিয়ে মাছ ধরার মজাই অন্য রকম। নদীর মাছ সু-স্বাদুও অনেক। তাই সিপ জাল দিয়ে মাছ ধরছি। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, সিপ জাল তৈরির জন্য বেশী কিছু প্রয়োজন পড়ে না। খরচও কম হয়। জালের ৪ কোণার জন্য ৪টি বাঁশের কাঁঠি, ২টি বড় বাঁশ। ১টি মাছ রাখার জন্য খালই (বাসনপত্র) ইত্যাদি। যে কেউ খুব সহজে সিপ জাল জাগিয়ে মাছ ধরতে পারে। উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের রেহাইগাবসারা গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকার মো. সাইদালী তালুকদার, মো. হাবেজ আলী, কাদের তালুকদার, ছাত্তার তালুকদার, আ: ছালাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বেশী ভাগ সিপ জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। কিন্তু নদীতে অনেক নিচু জায়গায় পানি জমে আছে। সেখানেও সিপ জাল ফেঁলে মাছ ধরা যায়। ছোট-বড় যে কোন বয়সের মানুষ সিপ জাল জাগিয়ে মাছ ধরতে পারেন। ঠিক মতো মাছ জালে ধরা পড়লে পরিবারের জন্য চাহিদা পূরণ করেও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়। হাবেজ আলী আরো বলেন, সারা দিনে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে জালে। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে মাছগুলো হাট-বাজারে বিক্রি করেন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার কোন সময় খাবার মাছও ধরা পড়ে না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: