সরকারের এক বছর: সফল তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:২৫ পিএম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের ১ বছর পূর্ণ হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরমধ্যে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ড. হাছান মাহমুদ। দায়িত্ব পাওয়ার এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন কাজে সফলতা দেখিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়কে এনেছেন শৃঙ্খলার মধ্যে। সম্প্রতি দেশে অনলাইন গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। তবে এ খাত এখনো শৃঙ্খলার মধ্যে আসেনি। এজন্য অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে তৎপর রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। শিগগিরই কিছু অনলাইন সংবাদ পোর্টালকে নিবন্ধন দেয়া হবে। জানা গেছে, অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধন দেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এখনও সব রিপোর্ট পায়নি তথ্য মন্ত্রণালয়। এজন্যই কিছুটা সময় লাগছে। হাছান মাহমুদের তৎপরতায় সম্প্রচারক্ষেত্রেও অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আইন বহির্ভুতভাবে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। এটি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও অনেক কমে এসেছে। এতদিন বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল করার ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি ছিল। তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর সম্প্রচার তারিখকে প্রাধান্য দিয়ে চ্যানেলের সিরিয়াল করার নির্দেশ দেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। গত ছয় দশকে ভারতে কখনো বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখা যেত না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ভারতে বিটিভি দেখানোর কাজটি সম্পন্ন করেন ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া তার প্রচেষ্টার কারণে ভারতে এ মাসেই শোনা যাবে বাংলাদেশ বেতার। অন্যদিকে, মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করে বিটিভিকে গণমুখী করার জন্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের দায়িত্ব নিয়েই ৩ মাসের মাথায় ৯ ঘণ্টা, তারপর ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারের উদ্যোগ নেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে টেরিস্ট্ররিয়াল সম্প্রচারের ঘোষণা দিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। স্কুলজীবনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া তৃণমূলের এই নেতা সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তথা দেশ এবং বিদেশেও নানা কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হচ্ছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সফলতার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী বলেন, ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখানো প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল কয়েক যুগ আগে থেকে। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর থেকে দুরদর্শনের ফ্রি ডিশের মাধ্যমে সমগ্র ভারতে অফিসিয়ালি বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রদর্শিত হচ্ছে। এ মাসেই বাংলাদেশ বেতারও সমগ্র ভারতে সম্প্রচারিত হবে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রম নির্ধারণের জন্য বারং বার তাগাদা দেয়া হয়েছিল, যা গত বছর আমরা ঠিক করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, বিদেশি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছি। অনেকগুলো টেলিভিশনে বিদেশি সিরিয়াল কোনো অনুমতি ছাড়া প্রদর্শিত হচ্ছিল, যেটি আমরা একটি নিয়মনীতির মধ্যে এনেছি। অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মোবাইল কোর্ট চলছে। চলচ্চিত্রশিল্পীদের দাবি ছিল একটি কল্যাণ ট্রাস্ট করা। সেই কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করতে ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: