বাকৃবির নিখোঁজ ৪ শিক্ষার্থী নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২০, ০১:১৬ এএম
ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) চারজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ট্রাভেলস এজেন্সির পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এদিকে এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছেন ওই শিক্ষার্থীদের পরিবারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শেখ মিজানুর রহমান, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান খান। তারা একই অনুষদের মাস্টার্স থিসিস সেমিস্টারে অধ্যয়নরত। এছাড়াও আরেক নিখোঁজ শিক্ষার্থী আব্দুল মোমেন বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তারা চারজনই বিশ^বিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের বিভিন্ন কক্ষে থাকতেন এবং হলে তাবলীগ জামাতের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি ফাহিম ও মোমেন বি এস এস ট্রাভেলস এবং মিজানুর ও আল আমিন সাদমান ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাত্রা করে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখ তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও আজ পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাদমান ট্রাভেলস জানায় ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। পরবর্তীতে তাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ শিক্ষার্থী ফাহিম হাসানের বাবা আবুল কাশেম বলেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পর ফাহিমের সাথে আমাদের সর্বশেষ কথা হয়। এরপর আর কোন খোঁজ পাওয়া না গেলে আমরা ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় জিডি করেছি। এই বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সবাই খুবই উদ্বিগ্ন। নিখোঁজ আব্দুল মোমেনের বাবা মো. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ওমরায় যাওয়ার পর সে আমাদের সাথে আর যোগাযোগ করেনি। সে কোথায় আছে, কি করছে, এ বিষয়ে পরিবারের সবাই একেবারে ভেঙে পড়েছে। পরিবারের সবাই তার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ছাত্র ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী নাবিল তাহমিদ বলেন, নিখোঁজ চারজনই অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন এবং সবাই তাবলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই বিষ্মিত। বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় জিডি করা হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে পুলিশকে সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা কাজের সন্ধানে সেখানে রয়ে গেছে নাকি অন্য কোন কারণ আছে সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: