ব্যক্তিগত সামাজিক সচেতনতাই পারে করোনা হ্রাস

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:০৭ পিএম
ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সচেতনতাই পারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্র্রতা হ্রাস করতে। আপনি যা করছেন তার ফল আপনাকেই প্রথম ভোগ করতে হবে। অতঃপর আপনার পরিবার, সমাজ তথা সমগ্র দেশ ও জাতিকে। আপনি কাকে ফাঁকি দিচ্ছেন- প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক বা সচেতন কাউকে? নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কাকে, একবার ভাবুন। হিসাব খুবই সরল ও সোজা। আপনি বিপদ ডেকে নিচ্ছেন নিজের ইচ্ছায়। আপনি বাড়াচ্ছেন লাশের মিছিল। কার লাশ। আপনার, আপনার প্রিয়তম শিশু-সন্তানের, স্ত্রী, মা-বাবা, আপনজন, যাদের জন্য আপনি ফাঁকি দিচ্ছেন, কারও কথা আপনি শুনতে পাচ্ছেন না, তাদের লাশ! কেন আপনি একজন মানুষ, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃৃষ্টি জীব যদি নিজেকে দাবি করেন, তাহলে তার প্রমাণ দেওয়ার এখনই সময়। আপনার ঘটে যদি সামান্য বুদ্ধি থেকে থাকে, আপনার যদি থাকে সামান্য বিবেক ও বিবেচনাবোধ থাকে তবে তা কাজে লাগানোর এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। তার সঠিক ব্যবহার এখন যদি না হয় তবে কখনো আর হবে না। আপনি যদি সামান্য বিবেচনা শক্তির অধিকারী হয়ে থাকেন, তবে সেই বিবেচনা আপনি করুন এবং দেখুন নিজেকে কোথায় দেখতে চান। সেই গোরস্থানে অথবা শ্বশ্বানে। যেখানে আপনার বা আমার আন্তো স্টিক্রিয়ায় থাকবে না কোন স্বাভাবিকতা, থাকবে শুধুই শঙ্কা! নিজে একা নয়, যার যার জায়গা থেকে সবাই যতটুকু দায়িত্ব তার সবটুকু পালন করি। আসুন আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনাহারী, হতদরিদ্র প্রতিবেশীদের প্রতি সদয় হই, মাত্র কয়েকটি দিন ঘরে বসে মহানবী হযরত মুুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক হেরা গূহা বা মহামানব গৌতম বুদ্ধের বোধবৃক্ষ বা অন্য অনেক মহামানবদের অনুসরণ করে গভীর মানবকল্যাণকর বিরাট কিছু না পারলেও সামান্য কিছু করার চিন্তায় নিজেকে ব্যস্ত রাখি। আসুন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি না দিয়ে সহায়তা করি। ত্রাণ বিতরণে আরোও সজাগ হই। পেট বাঁচাতে গিয়ে যেন ভাইরাসের বিস্তার না করি। ব্যবসার নামে যেন মুনাফা হ্রাস টেনে ধরি। অসমাপ্ত কাজগুলো আপাতত অসম্ভব জরুরি না হলে সমাপ্ত না করি, পাড়ায় প্রবেশপথ আটকে দিয়ে ছাদে বসে না থেকে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে তাস না খেলি। নির্বিঘ্নে অনুরুপ কাজ না করি। বিশেষজ্ঞদের কথা মেনে চলি। আচরণ দিয়ে প্রমাণ দেই, আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সেরা জীব। এই মহাবিশ্ব আমাদের, আমরাই থাকবো। যা কিছু মন্দ তার জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি প্রার্থনা করি। মো. আসলাম হোসাইন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: