ব্রণ একটি দুঃস্বপ্নের মতো! আর যেকোনো মেয়েই , শুধু মেয়ে কেন, সৌন্দর্য্য সচেতন যেকোন মানুষ সে নারী কিবা পুরুষ যেই হন না কেন ব্রণ থেকে সব সময় দূরে থাকে চান। ব্রণ হওয়ার কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই । আপনার গালে, চিবুকে, কপালে বা মুখের যেকোন জায়গাতেই এমন কি পিঠে ব্রণ হতে পারে। তাই আসুন আজ জেনে নিই, কেন আমাদের ব্রণ হয় আর কীভাবে আমরা সহজ কিছু কাজের দ্বারা ব্র্ণ থেকে দূরে থাকতে পারি। বয়সন্ধি,আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধুলাবালি, ভুল প্রসাধনী যা আপনার ত্বকে কার্যকরী নয় এমন সব কারণে ত্বকে ব্রণ হয়। এছাড়াও নীচের কারণগুলোতে ব্রণ হয় ।
ব্রণের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে, বংশগত কারণে, হজমের গোলমাল হলে, মদ্যপান ইত্যাদি কারণে ব্রন হতে পারে। ব্রণ আমাদের শরীরের ত্বকের ফলিকলের এক প্রকার দীর্ঘ-মেয়াদী রোগ।
কম ঘুম: কম ঘুম ব্রণর জন্য দায়ী। চিকিৎসকেরা তাই বলেন রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। এতে ত্বকে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ত্বক থাকে আয়নার মতোই ঝকঝকে।
টেনশন : অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং অবসাদ, টেনশন---তিনে মিলে জন্ম দেয় মুখ ভর্তি ব্রণর। তাই সবসময় টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড: চিজি পিজ্জা, মাংসের বার্গার বা পকোড়া, সিঙাড়া, ভাজাভুজি, মিষ্টি, ক্যাডবেরি, কোল্ড ড্রিংকস যত খাবেন ততই ব্রণের হামলা বাড়বে। তারণ, এই ধরনের ভাজাভুজি হজমের সমস্যার কারণ। যার থেকে ব্রণর উৎপাত নতুন কিছু নয়। এর থেকে হওয়া ওবেসিটিও হয়। সেটিও ব্রণের অন্যতম কারণ।
হরমোনের পরিবর্তন: হরমোন ক্ষরণের তারতম্য ঘটলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা গিলে তখন দরকার ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। হরমোনের কমবেশি শ্ক্ষরণ রক্তের পাশাপাশি ছাপ ফেলে ত্বকেও।
জীবাণু সংক্রমণ: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করতে কেবল ফেসওয়াশ বা শাওয়ার জেল যথেষ্ট নয়। আপনার ত্বকে সংক্রমণ হলে তা কমাতে যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় তেমনি স্ক্রাবার দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হয়। এতে জীবাুর হামলা কমে।
পাঠকের মন্তব্য: