প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছর সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে থাকা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পশুর হাট না বসানোর জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদের ছুটিতে এই চার এলাকা থেকে অন্যান্য স্থানে যাতায়াত বন্ধ রাখারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির ফোকাল পয়েন্ট এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বুধবার (১৫ জুলাই) স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবকে এ অনুরোধ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪তম সভার সুপারিশে জানানো হয় যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধ জীবনযাত্রা উদ্বেগজনক। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাট স্থাপন করার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ হলো-সংক্রমণের হার বেশি থাকায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে যেন পশুর হাট স্থাপন করা না হয়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অন্যান্য জেলার জন্য দেওয়া পরামর্শগুলো হলো:
১. কোরবানির পশুর হাট শহরের অভ্যন্তরে স্থাপন না করা।
২. কোরবানির পশুর হাট খোলা ময়দানে বসানোর ব্যবস্থা করা, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।
৩. বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ ঊর্ধ্ব) এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের পশুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখা।
৪. পশুর হাটে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পৃথক রাস্তার ব্যবস্থা করা।
৫. পশুর হাটে আগতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।
৬. কোরবানির পশু বাড়িতে জবাই না করে শহরের বাইরে সিটি করপোরেশনের দ্বারা নির্ধারিত স্থানে করার ব্যবস্থা করা।
৭. অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে বাড়ির বাইরে কোরবানি দেওয়া সম্ভব হলে, তা করার জন্য উৎসাহিত করা।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিঠিতে, পশুর হাট ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে স্থাপন না করার এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশুর হাট স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও অন্যান্য জেলায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য: