বাংলাদেশের করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে

প্রকাশিত: ২৯ আগষ্ট ২০২০, ০৬:৪০ এএম
চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতির মধ্য দিয়ে-বাংলাদেশের করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। সেক্ষেত্রে-পরীক্ষা সফল হলে দেশীয় কোম্পানি এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের সুযোগ পাবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে-শেষমেষ-যে দেশের ভ্যাকসিন বেশি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমানিত হবে-সেই ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করতে সরকারকে তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে এখনও নিয়ন্ত্রিত নয় করোনা পরিস্থিতি। মৃত্যুর হার কম হলেও-সংক্রমনের হার নামছে না ২০ ভাগের নিচে। গেল ১০ দিনে গড়ে দেশে মারা গেছে ৪০ জনের ওপরে। তাই-ভ্যাকসিনের দিকে নজর সবার। এমন অবস্থায়-বাংলাদেশে চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ১৮ মাসে আইসিডিডিআরবি-র মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চলবে এই টিকার পরীক্ষা। অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. মুস্তাক হোসেন,উপদেষ্টা, আইইডিসিআর জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধে প্রায় ২০০ টিকার বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন-ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া করোনার টিকা আবিষ্কারে বেশ এগিয়ে। তারপরও-করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমানে আগামী বছর লেগে যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. মুস্তাক হোসেন, উপদেষ্টা, আইইডিসিআর জানান, করোনা টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিনা মূল্যে টিকা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্পমূল্যে এবং প্রয়োজনে পূর্ণ মূল্য দিয়ে টিকা কেনার বিকল্প পথও খতিয়ে দেখছে সরকার। টিকা কেনার জন্য এরইমধ্যে ৮৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরির কাজও চলছে। সেক্ষেত্রে-বাংলাদেশে নিরাপদ করোনা ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়ার আগ্রহ বিশেষজ্ঞদের।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: