শর্তসমূহ উপেক্ষা করেই চলছে গণপরিবহন

প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৪৮ পিএম
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ তিন মাস বাড়তি ভাড়ায় চলাচল করার পর গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে পূর্বের ভাড়ায় ফিরছে গণপরিবহন। স্বাভাবিক সময়ের মতো চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর গণপরিবহন সরকারের দেয়া শর্তসমূহ উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা নীতির বাস্তবায়নসহ বেশকিছু শর্তে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় গত ৩১ মে থেকে গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার। তবে ঈদযাত্রায় ও ঈদ-পরবর্তী থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এরপর থেকেই গণপরিবনের বর্ধিত ভাড়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকেই রাজধানীসহ সাড়াদেশে স্বাভাবিক সময়ের মতো চলাচল করছে গণপরিবহন। তবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে সরকারের দেয়া শর্তসমূহ উপেক্ষা করেই চলছে গণপরিবহন। গত ১ জুন থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় এবং সেই সাথে ভাড়াও ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তবে গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতির পর সরকার ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাভাবিক সময়ের মত পূর্বের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিলেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। শর্তে বলা হয়েছে- গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী, টিকিট বিক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হাতধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অর্থাৎ যত সিট তত যাত্রী পরিবহন নীতি কার্যকর হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রিপের শুরু এবং শেষে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে এবং বাস কর্মী এবং যাত্রীদের অনেকেই মাস্ক ব্যাবহার করছেন না ও একই সাথে আসনের অতিরিক্ত যাত্রীও বহন করা হচ্ছে। যাত্রীরা বলছে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি না মানার ফলে দেশে করোনা সংক্রমণ বিস্তারের ঝুঁকি বেড়েছে। যাত্রী সাধারণ আরও বলেন, দেশে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি এড়াতে গনপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য শর্ত গুলো মানা নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে সরেজমিনে গিয়ে অধিকাংশ বাসের চালক ও সহকারীকে মুখে মাস্ক কিংবা গাড়িতে ওঠার সময় স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে উঠতে দেখা যায়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: