বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন জাপানের সাকুরা কোর্সে অংশগ্রহণের সু্যোগ

আশরাফুল আলম, বশেমুরবিপ্রবি থেকে: শিক্ষাই আলো। তাই আলো ছড়াতে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রায় এক বছর আগে জাপানের অকায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Okayama University) এর সাথে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই চুক্তি অনুসারে প্রতিবছর ফলাফলের ভিত্তিতে জাপান সরকারের জাপান সায়েন্স এন্ড টেকনলোজি (JST Scholarship) এর আওতায় বশেমুরবিপ্রবির মাস্টার্সে অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পাবেন সাকুরা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সুজন আলীর তত্ত্বাবধানে বশেমুরবিপ্রবির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চার শিক্ষার্থী বেনজির হুসাইন, প্রসেঞ্জিত দত্ত, সোনিয়া আক্তার এবং রিতা রানী বিশ্বাস জাপান সরকারের অর্থায়নে সাত দিনের সাকুরা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এ নিয়ে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সুজন আলী জানান, “অকায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD-রত বশেমুরবিপ্রবির ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ – আল আসাদের উদ্যোগে মূলত এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের কারনে শিক্ষার্থীদের এমন কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে যেগুলো হয়ত বা দেশে তাদের পক্ষে শেখা অসম্ভব। বিশেষত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হওয়াতে ল্যাবের সংকট লক্ষ্য করাযায়। কিন্তু এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা অনেকাংশেই সেই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।” এসময় তিনি আরও জানান, “জাপানের শিক্ষা কার্যক্রমে থিওরি ও প্রাকটিক্যালের অসাধারণ সমন্বয় রয়েছে এবং এই প্রোগ্রামটি পরিচালনাকারীরাও অনেক আন্তরিক। এর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা সহজেই এমন অনেক কিছু শিখতে পেরেছে যা তাদের পেশাগত জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।” প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্তী রিতা রাণী বিশ্বাস বলেন, “প্রোগ্রামটি আমাদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় ছিলো। বিশেষ করে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের তুলনায় অনেক উন্নত এবং তাদের ল্যাবগুলো পরিদর্শন করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখেছি।” উল্লেখ্য, দেশে করোনা পূর্ববর্তী গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারী থেকে ২৩ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জাপানে এই প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রোগ্রামে বশেমুরবিপ্রবি থেকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ৯৫ হাজার ইয়েন প্রদান করা হয়েছিল।