হাটহাজারীর দারুল উলূম মইনুল ইসলাম মাদরাসার অনেক কিছুই বদলে গেছে। মুহতামিত ও শিক্ষা পরিচালকের পরিবর্তনের পর এবার নতুন করে মাদরাসার আরও দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে আগে চাকরি যাওয়া চার শিক্ষককে। পরিবর্তনের ধারাটা এখানেই শেষ নয়। মাদরাসার মজলিসে শুরায় নতুন করে যোগ হয়েছে আরও ছয় সিনিয়র মুহাদ্দিস। পরিবর্তন এসেছে কিতাব বণ্টনেও। সব মিলিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে দেশের বৃহত্তর কওমি আঁতুড় ঘর খ্যাত হাটহাজারী মাদরাসা।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে মাদরাসার মজলিসে এদারী (পরিচালনা কমিটি) ও মজলিসে এলমি (শিক্ষা পরিচালনা কমিটি) শুরা কমিটির গৃহীত পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত হয়। এটি আন্দোলনকারী ছাত্রদের পাঁচ দাবির একটি।
অব্যাহতি পাওয়া দুই শিক্ষক হলেন-মাওলানা মোহাম্মদ উসমান ও মাওলানা তকি উদ্দিন আজিজ। মাদরাসার প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী থাকাকালীন এ দুজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
পুনর্বহাল হওয়া চার শিক্ষক হলেন- মাওলানা আনোয়ার শাহ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা মোহাম্মদ হাসান ও মাওলানা মনসুর। আহমদ শফী থাকাকালীন তাদেরকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। মাদরাসা সূত্রে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানা গেছে।
পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্ববর) রাতে মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আল্লামা আহমদ শফী। একদিন পর মারা যান তিনি। একই সঙ্গে তার ছেলে আনাস মাদানীকেও মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। শুরা কমিটির সিদ্ধান্তের পর বর্তমানে মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলেও জানা গেছে।
কওমি শিক্ষার খোঁজ রাখেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, আল্লামা শফী পরবর্তী হাটহাজারী মাদরাসার এ পরিবর্তন দেশের শিক্ষা ও ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এর ফলাফল কী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
পাঠকের মন্তব্য: