পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, স্বীকার করেছে জাকারিয়া

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০১:১৮ এএম
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক মিশ্রিত দই খাইয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাকারিয়াকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। ওই কিশোরী এ বছর এসএসসি পাস করেছেন। তার মা মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেলে সে নানীর বাড়িতে থাকেন। গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া (২০) চর হাসাদিয়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে ও কিশোরীর মামাত বোন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪'র কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আজ ভোররাতে জেলার সদর উপজেলার দাপুনিয়া বাজারের গাঘড়া মধ্যপাড়া থেকে জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪। এর আগে সোমবার (১৯ অক্টোবর) সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চর হাসাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে এলাকাবাসী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। র‌্যাব-১৪ সিনিয়র এএসপি জুনাইদ আফ্রাদ বলেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাকারিয়া চারটি দই নিয়ে বাড়িতে আসে। জাকারিয়া চেতনানাশক দই ওই কিশোরীর নানী, ভিক্টিম কিশোরী ও তার ছোট বোনকে খেতে দেন। দই খাওয়ার পর একে একে সবাই অচেতন হতে থাকে। পরিবারের সবাই অচেতন হলে এই সুযোগে জাকারিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। জাকারিয়াকে সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র‌্যাব'র এই কর্মকর্তা। এদিকে ময়মনসিংহ কোতোয়াল মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।    

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: