বিয়ের ৬ দিন পর টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আগের স্বামীর কাছে পালালেন স্ত্রী!

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০২:০৩ এএম
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে ছেড়ে নাছের হাওলাদার নামের এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন নুপুর আক্তার নামের এক গৃহবধূ। তবে পালিয়ে বিয়ে করার ছয় দিন পর তার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নুপুর পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নাছের। এদিকে, নাছেরের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন নুপুরের মা রাশিদা বেগম। মামলা হওয়ায় পুলিশের ভয়ে বর্তমানে এলাকা ছাড়া ওই যুবক। জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর (মাগুড়া) এালাকার এমদাত হাওলাদারের ছেলে নাছের হাওলাদার ঘোশের হাট বাজারে মোবাইল মেরামত করতে গেলে ওই দোকানে বসে পগৌরনদী উপজেলার বাকাই (ইছাগুড়ি) এলাকার আবুল বাসারের স্ত্রী নুপুরের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে প্রথমে মোবাইলে কথা হয়, পরে ইমোতে তারা ছবি আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তারা দুজন পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। চার মাস প্রেম করার পর গত ১১ অক্টোবর নুপুর আক্তার তার প্রথম স্বামী আবুল বাসারকে তালাক দিয়ে নাছেরের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরের দিন ১২ অক্টোবর শরিয়তপুর জেলার পালং ইউনিয়ন বিবাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখের কাছে বিবাহ রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন নাছের ও নুপুর। বিয়ের পর ছয়দিন সংসার করে গত ১৮ অক্টোবর নাছেরের নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও সাড়ে তিন ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের গহনা নিয়ে নুপুর আক্তার পালিয়ে গৌরনদীতে তার মায়ের কাছে চলে আসেন। ওই দিনই নুপুরের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩, তাং ১৮/১০/২০ইং। ওই মামলায় পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়ে পালতক রয়েছে নাছের। এ ঘটনায় নাছের মুঠোফোনে বলেন, ‘ভালোবাসার নামে ছলনা করে আমাকে বিয়ে করে নুপুর আমার নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পলিয়েছে। নুপুরের মা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতেছে, যাতে আমি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত না নিতে পারি। আমি নুপুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ মামলার বাদী রাশিদা বেগম বলেন, ‘নাছের আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ছয় দিন পর সেখান থেকে নুপুর পালিয়ে এসে জানানোর পর গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে আমার মেয়ে তার স্বামী আবুল বাসারের কাছে ঢাকায় রয়েছে।’ নাছেরের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে মেয়ের পালানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাশিদা বেগম জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে চান না। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা, গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, রাশিদা বেগম নামের এক নারী তার মেয়েকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: