মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়ায় বাবার কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০, ১২:২০ এএম
পিরোজপুরের কাউখালীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১০) জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার অভিযোগে বাবা মো. সোয়াইব শেখকে (৩২) ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. খালেদা রেখা এ দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোয়াইব শেখ উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বেতকা গ্রামের সফিউদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আসপর্দ্দি গ্রামের ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। আর কনে স্থানীয় হোগলা বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সোয়াইব শেখের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এ কারণে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে বসবাস করতো। গেলো ৪০ দিন আগে ওই কনেকে উপজেলার বেতকা গ্রামের জুয়েল বেপারীর ছেলে রবিউল বেপারীর (১৯) সঙ্গে কনের অমতে তার বাবা-মা জোড়পূর্বক বিয়ে দেন। বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই ছাত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখার কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দেন। ইউএনও থানা পুলিশের সহায়তায় ওই দিন সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবাকে আটক করেন। পরে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা খালেদা খাতুন রেখার ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা জানান, ওই স্কুলছাত্রীর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সোয়াইব শেখকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: