মেহবুবা মুফতি ও তার মেয়ে ইলতিজা গৃহবন্দি

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫৫ পিএম
জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও তার মেয়ে ইলতিজাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। মেহবুবা মুফতি নিজেই টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি গ্রেফতার করা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা ওয়াহিদ পারার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের ধরে নিয়ে গৃহবন্দি করা হয় বলে দাবি মেহবুবার। ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, মেহবুবা মুফতি এক টুইটে শুক্রবার লিখেছেন, আমাকে আবারও অন্যায়ভাকে আটক করা হয়েছে। আমার মেয়েকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাদের আটক ও গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভারতের কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের (ডিডিসি) নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মেহবুবা মুফতির দল ডিপিপির নেতা ওয়াহিদ পারাকে গ্রেফতার করে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ওয়াহিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাওয়াতেই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও তার মেয়েকে বন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পিডিপি নেত্রী। শুক্রবার সকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে মেহবুবা লেখেন, ‘ফের বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে আমাকে। গত দু’দিন ধরে পুলওয়ামায় ওয়াহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিচ্ছিল না জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। বিজেপির মন্ত্রী এবং তাদের অনুচরদের কাশ্মীরে অবাধ বিচরণের অনুমতি রয়েছে। শুধু আমার বেলাতেই নিরাপত্তার দোহাই’। ওয়াহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় তার মেয়ে ইলতিজাকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেহবুবা। এ বিষয়ে তিনি লেখেন, এদের নিষ্ঠুরতার কোনো সীমা নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে ওয়াহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর অধিকারটুকুও নেই আমার। এমনকি আমার মেয়ে ইলতিজাকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের কোথায় রাখা হয়েছে, তা খোলসা করেননি মেহবুবা। জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে কাশ্মীর উপত্যকায় প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় গত বুধবার ওয়াহিদ পারাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। মেহবুবার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওয়াহিদ দক্ষিণ কাশ্মীরে পিডিপির ভিত মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পুলওয়ামা থেকে জেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন তিনি।  

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: