পিঁয়াজ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে চান বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:৪১ পিএম
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর: এবার দেশে পিঁয়াজের সংকট ও ঘাটতি মোকাবিলায় গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবন করলেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিএআরআই)- এর বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো- বারি ২, ৩ ও ৫ জাতের তিনটি গ্রীষ্মকালীন এবং বারি ১, ৪ ও ৬ জাতের তিনটি শীতকালীন। বিএআরআই বগুড়ার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নুর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ফলন বেশি পাওয়ায় বিএআরআই বিজ্ঞানীরা গ্রীষ্মকালীন বারি ৫ জাতের পিঁয়াজ চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলেছেন। এ জাতের পিঁয়াজ চাষে আগামীতে দেশে বিপ্লব ঘটতে পারে। দেশে পিঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩৫ লাখ মেট্রিক টন, চাষ হচ্ছে ২৫-৩০%, স্টোরেজ ঘাটতি বাদে ১৮ লাখ টন। এর পরও দেশে ১০-১১ লাখ টন পিঁয়াজের ঘাটতি থেকে যায়। এ ঘাটতি মোকাবিলায় দেশের প্রায় ২ কোটি ৮৭ লাখ বসতবাড়ির মধ্যে ১ কোটিতে (প্রতি বাড়িতে ন্যূনতম ১ শতক জমির চার ভাগের এক ভাগে) গ্রীষ্মকালে (ফেব্রুয়ারি, জুন ও সেপ্টেম্বরে) কমপক্ষে তিনবার পিঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ চাষে সফলতা আনতে পারলে ৬-৭ লাখ টন পিঁয়াজ পাওয়া যাবে এবং মৌসুমের চাষসহ তখন অতিরিক্ত ফলন ঘওে তোলা সম্ভব হবে। ফলে পিঁয়াজের দুর্যোগ কাটিয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হব।’ রবিবার পিঁয়াজের দুর্যোগ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে কৃষককে স্বনির্ভর হতে উদ্বুদ্ধ করতে দিনাজপুর সদরের খামার কান্তবাদ গ্রামে দেড় শতাধিক কিষানি নিয়ে মাঠ দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন (বারি ৫) জাতের পিঁয়াজের বাল্ব উৎপাদনের কলাকৌশলের ওপর পরামর্শ দেওয়া হয় মাঠ দিবসে। বিএআরআইর মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বগুড়ার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হামিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহের সাবেক মহাপরিচালক ড. ধীরেশ কুমার গোস্বামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএআরআইর ডাল গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনার পরিচালক ড. দেবাশিস সরকার। বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়ার অর্থায়নে ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, দিনাজপুরের সহযোগিতায় মাঠ দিবসের আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষক প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন ও খায়রুল ইসলাম। তারা বারি ৫ জাতের পিঁয়াজ চাষের সফলতা ও সম্ভবনা তুলে ধরেন। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের পক্ষে বক্তব্য দেন বিএআরআইর মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়ার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নুর আলম, মুহম্মদ শামসুল হুদা, বিএআরআই দিনাজপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবা খানম প্রমুখ। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: