চতুর্থ স্ত্রীও করলো আত্মহত্যা, স্বামী এখন পঞ্চম স্ত্রীর সঙ্গে

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:০৯ পিএম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্বজনদের দাবি নিহত মৌসুমি আক্তারকে (২৩) দিয়ে জোর পূর্বক ‘সুইসাইড নোট’ লিখিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত স্বামী রবিউল আলম। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, রবিউলের আরও চারজন স্ত্রী ছিল। তাদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে এর আগেই। তৃতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মতো চতুর্থ স্ত্রীও আত্মহত্যা করলো। এসবের পরও রবিউল পালানোর আগ পর্যন্ত সংসার করছিলেন পঞ্চম স্ত্রীকে নিয়ে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি অনেক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এভাবে তিনি বিয়ে করেছেন পাঁচটি। এ বিষয়ে রবিউল আলমের বড় ভাই পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রানা বলেন, তার ভাইয়ের বহু বিয়ের বিষয় নিয়ে তারা বিরক্ত। তবে একাধিক বিয়ের বিষয়ে তার ভাই যতটুকু দায়ী মেয়ে পক্ষও কোনও অংশে কম দায়ী নয়। তার ভাইকে বিয়ে না করার জন্য তিনি মৌসুমিকে দুই বছর আগে অনেক বার নিষেধ করেছেন। কিন্তু সে রাতে পালিয়ে এসে বিয়ে করেছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৌসুমি যখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তখন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে শিলাইদহ ইউনিয়নের মৃত শাজাহানের ছেলে রবিউলকে বিয়ে করেন। তবে তখন তার তৃতীয় স্ত্রী ঘরে ছিল। চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে ঘরে আসে মৌসুমি। রবিউলের প্রথম স্ত্রী জোছনা আক্তার এক সন্তান রেখে আত্মহত্যা করেন, দ্বিতীয় স্ত্রী মনিরা বেগম সন্তান সম্ভবা অবস্থায় আত্মহত্যা করেন, রবিউল পঞ্চম বিয়ে করে আলাদা থাকা শুরু করলে চতুর্থ স্ত্রী মৌসুমি এক সন্তানকে রেখে আত্মহত্যা করেন। ঘরের পেছনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৌসুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, চার মাসের সন্তান রেখে মৌসুমী নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: