৩৭ বছরে মাত্র ১ লাখ কর্মী পাঠিয়েছে সরকারি এজেন্সি

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:১২ পিএম
সবচেয়ে কম খরচে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর লক্ষেই ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের একমাত্র সরকারী রিক্রুটিং এজেন্সি। গত ৩৭ বছরে মাত্র ১ লাখ কর্মী পাঠিয়েছে দেশের একমাত্র সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল। যা এক বছরে কোনো বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঠানো শ্রমিকের সংখ্যার সমান। শত কোটি টাকা মুনাফায় থাকা সরকারি এই রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেলের কর্মকাণ্ড মোটেও সন্তোষজনক নয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জনশক্তি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন নতুন কিছু পরিকল্পনার কথা। বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল হাসান বাদল বলেন, এক লাখ কর্মী কিন্তু কম না। ২১ হাজার লোক পাঠানো হয়েছে সাউথ কোরিয়ায়, তারা এখন কোটিপতি। সরকার বিবেচনা করবে আমাদের জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে যাওয়া ঠিক হবে কি না। দক্ষ কর্মী, সবচেয়ে কম খরচে পাঠানোর লক্ষেই ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের একমাত্র সরকারী রিক্রুটিং এজেন্সি এ পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ১ হাজার কর্মী পাঠিয়েছে বোয়েসেল। তাদের মধ্যে দক্ষ, আধাদক্ষ, অদক্ষ কর্মীও রয়েছেন। যেখানে অন্য বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি ১ বছরেই এর সমান কর্মী পাঠিয়ে থাকে। জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিশেলস ও মৌরিশাস এই ৪ টি দেশে গেলো অর্থবছরে মাত্র ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী পাঠিয়েছে এজেন্সিটি। এসব দেশে একচেটিয়াভাবে কেবল বোয়েসেলই কর্মী পাঠায়। তবে সংখ্যাটিকে কম মনে করেন না বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বোয়েসেলের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে গেলো ৩৭ অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১ শ ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লাভে রয়েছে এজেন্সিটি। সেক্ষেত্রে বোয়েসেলের কার্যক্রম আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে বলি যে কার্যক্রম আরও বাড়ানোর জন্য। আমরা তাদেরকে একটা দেশ দিয়ে রাখছি। সাউথ কোরিয়াতে যদি কোটা থাকে ১০ হাজার, এই কোটা পূরণ করে আরও কোটা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কিন্তু এক না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যতো লোক পাঠাবে তত তাদের ব্যবসা হবে, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান যত লোকই পাঠাক তার বেতন কিন্তু বাড়বে না। এই মনোভাব থাকা উচিৎ নয়। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি ৫০০ লোক বেশি টাকা দিয়ে পাঠায় তাহলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচিত কম টাকায় আরও বেশি লোক পাঠিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো। তারা ৫ শত লোক পাঠালে আমরা এক হাজার লোক পাঠানোর চেষ্টা করবো, এমন প্রতিযোগিতা থাকা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। এদিকে জনশক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর চেয়ে বোয়েসেলের ভুমিকা জোড়ালো হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে কর্মকাণ্ড বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বোয়েসেলের ব্যবস্থপনা পরিচালক সাইফুল হাসান বাদল। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে আমাদের কোন অবকাঠামো নেই। ভবিষ্যতে যদি আমরা দক্ষতা, যোগ্যতা বাড়াতে পারি তাহলে সরকার তা বিবেচনা করবে বলে আমরা মনে করি।  

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: