নোয়াখালীতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:০৩ পিএম
এবার নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে (৩২) বিবস্ত্র করে ধারণ করা ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে সেই ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি নির্যাতিতা নারী আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে হিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছে। এ সময় ওই নারী ও তার ছেলে মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতেই তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা নিয়ে ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২নং আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে আদালত হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর গতকাল শনিবার তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যান। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত বছরের গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় একদল যুবক। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: