প্রেমের বন্ধনে জড়িয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েও কপালে সুখ জোটেনি জেসমিন আক্তার রিমির (২৫)। প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় নানা কারণে স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নববধু জেসমিন আক্তার ওরফে রিমি।
নিহত জেসমিন আক্তার রিমি লক্ষীছড়ির শীলছড়ি গ্রামের আলমগীর হোসেন ও জুলেখা দম্পতির একমাত্র মেয়ে। দীর্ঘক্ষণ ঘরে কোনো সাড়াশব্দ না হওয়ায় প্রতিবেশিরা অনেক্ষণ ডাকাডাকি করেও সারা না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে জেসমিনকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে জোনায়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জেসমিন আক্তার। দুজনেই অভিভাবককে না জানিয়ে ৩-৪ মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভাড়া বাসায় ঘর সংসার শুরু করেন।বিয়ের কথা জানাজানির পর ছেলের প্রভাবশালী পরিবার এই বিয়ে মেনে না নিয়ে জেসমিনকে তালাক দিতে নানা কূটকৌশল অবলম্বন শুরু করেন। বিয়ের কাবিননামায় উল্লেখিত অর্থ ছাড়াও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হলেও জেসমিনকে তালাক দিতে ছেলের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে জোনায়েদ হোসেন নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলার সুয়াবিল আত্মগোপন করে। এ খবর জানতে পেরে স্বামীকে ফিরে পেতে সুয়াবিল গিয়ে বৈঠকে বসেও স্বামীর অধিকার পেতে ব্যর্থ হয়। বারবার সামাজিক বিচারবঞ্চিত ও শ্বশুর পক্ষের অমানবিক আচরণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় জেসমিন আক্তার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মন্তব্য: