খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা শাহজাহান খানের বাবারও নেই: আলাল

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:২১ পিএম
জিয়াউর রহমানের 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের ক্ষমতা জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলরের শাহজাহান খানের বাবারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই সরকারের ঘরে, বারান্দায়, পাকের ঘরে, চেয়ারের নিচে, চাদরে বালিশে কম্বলে সব জায়গায় আগুন লেগেছে এবং যে বিষ্ঠার দুর্গন্ধ সারাদেশে ছড়িয়েছে সেই যায়গা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এরকম একটা আজগুবি প্রস্তাব তুলে ধরেছে। আর কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই এটার পেছনে। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, খালেদা জিয়ার হাতে হওয়া জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল তারা (আওয়ামী লীগ) আজকে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবনা আনে। অংসান সুচির সম্মাননা খেতাব, কিন্তু জিয়াউর রহমানের এটা সম্মাননা খেতাব নয়, এটা বীরত্বের খেতাব। এ বীরত্বের খেতাবের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জেনারেল ওসমানী। তদন্ত করে কাদেরকে দেয়া হবে সেই কমিটির প্রধান ছিলেন একে খন্দকার। এটাতে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করেছিলেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। আর এটা গেজেটের মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে আলাল বলেন, আলজাজিরা তাদের হৃদপিণ্ড যে আঘাত করেছে সে আঘাতকে সরানোর জন্য তারা এই কাজটি করেছে। তারা কিছুই করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। কিছুই করতে পারবে না কারণ যেই খেতা মানুষের হৃদয়ের মধ্যে অঙ্কিত হয়ে রয়েছে, যে কেতাব বাংলাদেশের ৮বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধের মস্তিষ্কে হৃদয়ে স্থির চিত্র হয়ে রয়েছে সেই ক্ষেতাব মুছার ক্ষমতা কোন সরকারের নাই। কোন মানুষের নাই। তিনি বলেন, দৃষ্টি সরানোর জন্য নানা রকমের কাজ করা হচ্ছে। যার যেই কাজ না তাকে দিয়ে সেই কাজ করানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ঢুকে এক কথা বলে, বের হবে অন্য চেহারা নিয়ে। রাতে দিনের ভোট চুরি করে, দিনের বেলায় তো কথাই নাই। এই সরকার হচ্ছে ডাকাতির সরকার। এই ডাকাতি সরকার সরতে হলে জনগণকে একত্রিত করে এই ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে। তাহলেই হবে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: