কুমিল্লায় দুই সন্তানের জননীকে অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলা

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:৪০ এএম
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপটুয়া ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের দুই সন্তানের জননীকে অপহরণের অভিযোগে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ওই নারীর পিতা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলা এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. শাহ জামাল অপহৃত ওই নারীকে বিভিন্ন সময় উত্তক্ত করতেন এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠাতেন। বিষয়টি নিজ পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাবার বাড়ী থেকে গলায় ছুরি ধরে ও চোখ-মুখ বেঁধে সিএনজি যোগে ওই নারীকে অপহরণ করে নিয়ে যান শাহ জামাল ও তার সহযোগীরা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধারের তৎপরতা চালান। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই নারীকে পাশবর্তী নারারপাড় গ্রামে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত শাহ জামাল। পরে সেখান থেকে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করেন। এদিকে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী নারীর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে কান্দি গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা মোবারক উল্লাহ নবু, আব্দুর রব মাঝি ও বজলুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এর আগেও অভিযুক্ত শাহ জামালের বিভিন্ন অপকর্ম গ্রামবাসীর কাছে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রবাসে থাকাকালে তার সহযোগীদের সহায়তায় নিজ গ্রামে বিভিন্ন অপকর্ম করাতেন। এসব অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তারা প্রতিবাদকারীকে মারধর করতেন। সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, ‘সত্য-মিথ্যা যাই হোক, একটি ঘটনাতো ঘটেছেই। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব সরাসরি ভুক্তভোগী নারীর মুখ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনেছেন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’ অভিযুক্ত শাহ জামালের সাথে ভুক্তভোগী নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো দাবি করে, নাথেরপেটুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি ওই মেয়ের বক্তব্য নিয়েছি, তারা দুজনে স্বেচ্ছায় গৃহত্যাগ করেছে।’ অভিযুক্ত শাহ জামাল বলেন, ‘বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব বিস্তারিত জানেন। যেহেতু ওই মেয়ের বাবা আদালতে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন, তাহলে ওই মেয়ে কেন চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে ভিন্ন বক্তব্য দিলো।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: