শ্রীনগরে দলিল লেখক পরিচয়ে প্রতারনা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪৪ এএম
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক পরিচয়ে বিপুল আহাম্মেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের কাদুরগাঁও গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে বিপুল আহাম্মেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। জানাযায়, কোন লাইসেন্স না থাকলেও শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক পরিচয় দিয়ে প্রায় ৪/৫ বছর ধরে নানা শ্রেনী পেশার সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। বিপুল আহাম্মেদের ব্যবহিৃত ভিজিটিংকার্ডে ঠিকানা অনুযায়ী শ্রীনগর ডাক বাংল সুপার মার্কেটের নিচতলায় ও এমরহমান কমপ্লেক্সের বিপরত পাশে মক্কাকমপ্লেক্সের নিচতলায় তার নিজস্ব চেম্বার রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ খোজ নিয়ে জানাগেছে, ওই ঠিকানায় তার নিজস্ব কোন চেম্বার নেই। এছারা সে কোন লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখকও নয়। সে দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীনগর সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক রাজু , লিটনসহ অন্যান্য দলিল লেখকের অফিস ব্যবহার করে দলিল লেখার কাজ করে থাকে। আর ওই সব দলিল লেখকের অফিস ব্যবাহারের বিনিময়ে তাদেরকে কিছিু টাকা ধরিয়ে দেন। কয়েকজন ভূক্তভোগী জানায়, বিপুল আহাম্মেদের সাথে শ্রীনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসারের ভাল সম্পর্ক রয়েছে এমন কথা বলে সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমির পাওয়ার দলিল নিয়ে থাকে। এর পর ওই পাওয়ার নেয়া দলিলের জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে বায়না করে প্রতারনা করে আসছে। এছারা পর্চা ও দলিল উঠানো, নামজারী ও জমাভাগ করার নাম করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিপুল আহাম্মেদ বলেন, আমার দলিল লেখার কোন লাইসেন্স নেই কিন্ত ভিজির্টি কার্ড করে কয়েক জনকে দিয়েছি মাত্র। লাইসেন্স ছারা বিপুল আহাম্মেদের দলিল লেখক পরিচয় বিষয়ে শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মাজাহার মোক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কোন লাইসেন্স নেই। এ ধরনের প্রতারনার বিরুদ্ধে খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রার রেহানা বেগম জানান, বিপুলের সাথে অমার কোন সম্পর্ক নেই, দলিল লেখকের সহকারী হিসেবে চিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: