‘লালদিয়া চরবাসী গরিব হলেও আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’

প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২১, ০৭:২৮ পিএম
রবিউল হোসেন রবি, পতেঙ্গা (চট্টগ্রাম) থেকে: পতেঙ্গার লালদিয়া চরে উচ্ছেদ অভিযানকালে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন, তারা গরিব হলেও আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা ঢিল পর্যন্ত ছুঁড়েনি। শুধু সময় চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের লক্ষ্য অর্জন হয়ে গেছে। বুলডোজার বা স্ক্যাভেটর দিয়ে ভাঙার অভিপ্রায় নেই।’ সোমবার (১ মার্চ) সকাল ৯টায় বোট ক্লাব এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা উদ্বুদ্ধ করেছি যাতে বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় চলে যান। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯০ ভাগ চলে গেছেন। বল প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। আমাদের এলাকায় বেড়া দিয়ে দেবো, যাতে কেউ দখল করতে না পারে। আনসাররা পাহাড়া দেবেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পিসিটির ব্যাকআপের জন্য এখন এ জায়গা আমাদেএ প্রয়োজন। তাই এখন উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’ ‘৫২ একর জায়গা আজ পুনরুদ্ধার করতে পারবো। অবৈধ দখল উচ্ছেদ হলে সরকার তৃণমূলদের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা থাকে। তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা তালিকা পাঠিয়েছি।’—যোগ করেন বন্দর চেয়ারম্যান। এদিকে অভিযান শুরুর আগেই অনেককে নিজ উদ্যোগে তাদের তৈরিকৃত অবৈধ স্থাপনাসমূহ ভেঙ্গে ফেলতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার স্বেচ্ছায় ত্যাগ করছেন ওই এলাকা। নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে ফেলা একজন ঘরের মালিক বলেন, ‘আমরা এখন গৃহহারা হয়ে গেছি। আপাতত আমরা ভাড়া ঘরেই উঠবো। আমাদের শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে এই লালদিয়া চরের মাটিতে। যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা হাইকোরর্টের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। লালদিয়া চর বাসী শান্তি প্রিয়। তাই কোন উশৃঙ্খলতা ছাড়াই আমরা চলে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া দায়িত্ব পালন করছেন এক হাজারেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: