চাঁদা দাবি-হামলা ভাঙচুর, প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২১, ০৯:৫৬ পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাতসহ মেরে ফেলার হুঁমকির অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজুর বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অংগ্রহণে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রায় ঘন্টাব্যাপী ভূঞাপুর-তারাকান্দি আ লিক সড়কের উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে মানববন্ধন শেষে উপজেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। পরে পুনরায় প্রতিবাদ মিছিলটি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা। সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তিনি বলেন, ‘ঘাটাইল উপজেলার ৫নং আনেহেলা ইউনিয়নের গোরাঙ্গী গ্রামে বাড়ি ও জমিজমা রয়েছে। সেগুলো দেখাশোনা-পাহাড়া দেয়ার জন্য স্থানীয় আরজু নামে কেয়ার টেকর নিয়োগ করেছি।’ সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু মৌখিকভাবে ও মোবাইলে আমার কাছে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, চাঁদা না দেয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ি ভাঙচুর করেন তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এছাড়া আমার কেয়ার টেকার আরজুর স্ত্রী আসমা বেগমকে মাধধর করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা লুটপাত করেন। বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে ওই বাড়ি দেখতে গেলেও আমাকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুঁমকি দেয় ওই ভাইস চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসীরা। এ অবস্থায় আমিসহ আমার স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও ঘাটাইল থানা বরাবর আবেদন করেছি। এরআগে মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপিত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এটা নেক্কারজনক ঘটনা। শুধু তাই নয়, মুক্তিযোদ্ধা ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধাকে হত্যার হুঁমকির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অতিদ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিও করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আজিজুল হক আজিজ, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান প্রমুখসহ অন্যান্যরা। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু জানান, ‘ওই মুক্তিযোদ্ধা অন্যের জমি দখল করে আছেন। যার জমি দখল করে আছেন তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তার জমি দখলমুক্ত করতে আবেদন করেছেন। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হচ্ছে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: