চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ, জ্ঞান হারালে আম বাগানে ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা

প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২১, ০২:২১ এএম
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়ী থেকে ফুসলিয়ে এনে প্রেমিকসহ চার বন্ধু মিলে এক কিশোরীকে গণধর্ষন করেছে। পালাক্রমে ধর্ষনকালে কিশোরীটি জ্ঞান হারালে তাকে আম বাগানে একা ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের জামালপুর ইউনিয়নে। পরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। ১ মার্চ সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার জামালপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের উত্তর মহেষপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বাবুল ওরফে বাবু (১৯), খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২০), মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ি গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে রমজান (১৯) এবং রাণীশংকৈল উপজেলার নুনতোর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রহমান (১৯)। ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজন অপরাধ স্বীকার করেছে। বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বরাত দিয়ে ওসি তানভিরুল বলেন, এক মাস আগে বাবুল ওরফে বাবুর সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার ১২ বছর বয়সী বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাবুর সঙ্গে বাড়ির পাশে কাশিয়াডাঙ্গী বাজারে দেখা করতে যায়। সে সময় ১২ বছর ঐ শিশুকে কৌশলে ওই বাজারের পাশে একটি বাড়িতে আটকে রাখে বাবু।পরে ঐ কিশোরীকে অপহরণ করে ওই বাজারের পাশের এক আম বাগানে নিয়ে যান বাবুল ওরফে বাবু। সেখানে আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা তার বন্ধুরাসহ বাবু ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ঐ কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন সকালে আটকে রাখা ১২ বছর বয়সী শিশু কৌশলে ঐ বাড়ি থেকে পালিয়ে আম বাগানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বোনকে খুঁজে পায়। এরপর দুজনে পথ হারিয়ে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহারাজা বাজারে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে সেদিন বিকেলে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: