অবৈধভাবে দখল হওয়া খালের দুই পাশ দখলমুক্ত করা হবে: তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২১, ০৫:৪৮ এএম
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো.  বলেছেন, রাজধানীর খালসমূহের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খালের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত সকল ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে। দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি। বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ‘অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র’ (এসটিএস) এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অধীন নন্দীপাড়া ব্রিজ (জিরানী খাল), সুখ নগর ব্রিজ (খিলগাঁও-বাসাবো খাল, জিরানী খাল, মান্ডা খাল ও সেগুনবাগিচা খালের সংযোগস্থল), পাম্প স্টেশন, কমলাপুর (টিটিপাড়া) বহিগমন বিশ্বরোড কমলাপুর খাল, শ্যামপুর খাল এবং পান্থকুঞ্জ পার্ক বক্স কালভার্ট পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তাজুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র খালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় যারা এসব খাল দখল করে দুই পাশে ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন সেগুলো অপসারণ করছেন। মন্ত্রী জানান, নগরীর সকল খাল রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই মেয়রকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে অনেকগুলো সভা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডেঙ্গু মশা নিধনে তাঁর মন্ত্রণালয় থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ায় এ মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবাই মিলে এই সমস্যা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা শহরের খাল-নালা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারলে এসব মশার যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে অনেকাংশে মুক্তি দেয়া সম্ভব। এ সময়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।পবিত্র মক্কা নগরীর জমজম কূপের প্রকৌশলী ইয়াহইয়া হামজা কোশাক মারা গেছেন। গত সোমবার (১ মার্চ) রাতে ৮০ বছর বয়সে তিনি মারা যান। জমজম কূপের পানি নিয়ে আধুনিক গবেষণার জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। খবর আরব নিউজের। ১৯৭৯ সালে বাদশাহ খালেদের সময় জমজম কূপের বৃহত্তর পরিষ্কার অভিযানের প্রধান হিসেবে কোশাক কূপের ভেতর প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি পানির উৎস ও প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে বিভিন্ন অনুসন্ধান চালান। জমজম কূপের ইতিহাসে এটি ছিল বৃহত্তম পরিষ্কার অভিযান। হামজা কোশাক ১৯৪১ সালে পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। 'ফাদার অব ইঞ্জিনিয়ার' নামে অনেকের কাছে পরিচিত ছিলেন। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে কোশাক মিসরের আইনে শামস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশলবিজ্ঞানে স্নাতক শুরু করেন এবং রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা সম্পন্ন করেন। অতঃপর আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মক্কার প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন কোশাক। এ সময় জমজম পরিষ্কার অভিযানে প্রধান হিসেবে পানির উৎস নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। প্রত্যক্ষ অনুসন্ধান থেকে তিনি রচনা করেন জমজম কূপের বিষয় একটি গ্রন্থ। জমজম : দ্য হলি ওয়াটার’ নামের বইটিতে পানির বৈজ্ঞানিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। কোশাক বইটিতে বলেন, 'পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, জমজম কূপের প্রধানত দুটি উৎস আছে। একটি পবিত্র কাবার দিকে, অপরটি আজয়া স্থানের দিকে। ঐতিহাসিকদের বর্ণনামতে তৃতীয় উৎস হিসেবে জাবাল আবু কুবাইস ও সাফা পর্বতের কথা বর্ণনা করা হয়। তবে আমি এর পরিবর্তে অনেক পাথরের মধ্যে ১২টি ছোট গর্তের মতো দেখতে পাই'।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: