প্রেসক্লাব থেকে ২০ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ বিএনপির

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২১, ১১:০৩ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নেতাকর্মীদের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গ্রেফতারের হিড়িক শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম মজনুসহ ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বেলা আড়াই টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সভাকে কেন্দ্র করে ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো চারিদিকে ওঁত পেতে ছিল। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আল জাজিরায় কুকীর্তি ফাঁস, দুর্নীতির মহাসড়ক নির্মাণ এবং সরকারী হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের মানুষ এই মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যে ধিক্কার জানাচ্ছে তাতে সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে। সেজন্য তারা আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে বিরোধী দল ও চিন্তার মানুষের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। "বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুমের উগ্রগতি চারিদিকে দৃশ্যমান। সেই কারণে সংবিধানে স্বীকৃত সভা-সমাবেশের ওপর সিরিজ আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী। হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিএনপিসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল তথা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। এই উদ্দেশ্য অত্যন্ত ভয়ংকর। সবাই আশঙ্কা করছে-পুলিশী এই হানার মধ্যে পূর্বের ন্যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুম ও বিচার-বহির্ভূত হত্যার মতো কোন ঘটনা হতে পারে। কারণ নির্দয় জুলুম ও আওয়ামী লীগ অভিন্ন সত্তা। আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর হয়নি।" তিনি বলেন, হত্যার আসামীর দণ্ড মওকুফ হয়, দ্রুত জামিন হয়, লুটপাটকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারীরা সহজেই দেশ ছাড়তে পারে, অথচ মানুষ এসবের সমালোচনা করলেই তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। নিপীড়ণ আর হুংকারের স্বরে এখন দেশশাসন চলছে। মুশতাক ফাঁসির আসামী নন, তবুও তাকে কারাগারের মধ্যে জীবন দিতে হলো। রিজভী বলেন, সরকার মনে করছে, যারা সমালোচনা করে তারা প্রত্যেকেই অপরাধী, সুতরাং কারাগার এবং মৃত্যুই তাদের একমাত্র প্রাপ্য। এই কর্মসূচি নব্য বাকশালী সরকারের বাস্তবায়নের লক্ষ্য। সেজন্যই গণতন্ত্রকে অনুপস্থিত করে বাকশালের মৃতদেহকে ঘাড়ে করে বয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, গুম, অপহরণ, খুন, গুপ্তহত্যা, গলাবাজী ও মিথ্যা ভাষণের অদ্ভুত রসায়ণ এই নিশিরাতের সরকার যুবক-তরুণের আওয়াজে বিচলিত হয়ে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। এজন্য বিএনপিকে নির্মূল করতে সকল শক্তি নিয়োগ করেছে তারা। কিন্তু তারা উপলব্ধি করছে না, যেকোন মূহুর্তেই ক্ষমতার ঋতু পরিবর্তন হয়ে যাবে। পরিবর্তনের ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। মসনদ ধুলোতে লুটোপুটি খেতে থাকবে। মানুষ এখন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। পুলিশ দিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিরোধ দমানো যাবে না। এ সময় আজ প্রেসক্লাবের সামনে যুবদলের শান্তিপূর্ণ সভাতে পুলিশের হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মজনুসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান রিজভী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: