হত্যার পর ঘরের মধ্যেই দা দিয়ে রেহানার লাশ ৩ টুকরা করেন স্বামী

প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২১, ০১:৩৩ এএম
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর কাছিঘাটা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জুয়েল আহমেদ (২২) সঙ্গে রেহেনা আক্তার (১৯) ভালোবেসে সুখের সংসার গড়তে ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছিলেন। নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে রেহেনা আক্তার দেড় বছর চাকরি করেন। স্বামী জুয়েলের মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে চলে আসেন গাজীপুরে। এখানেই রেহেনাকে হত্যার পর লাশ তিন টুকরা করে ময়লার স্তূপে ফেলে দেন জুয়েল। আজ রোববার (৭ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর সদরের মনিপুর আরাবিয়া গার্মেন্টসের পেছনে জাকিরের ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকের পাশে ময়লার স্তূপ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় রেহেনার তিন টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রেহেনা আক্তার বিশ্বম্ভপুর থানার জুয়েল আহমেদের পার্শ্ববর্তী মেরুয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। সম্পর্কে তারা একে-অপরের আত্মীয়। পুলিশ জানায়, লাশের টুকরাগুলো বাসার সেপটিক ট্যাংকির সঙ্গে ময়লার স্তূপে বস্তাবন্দি অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। পরে ঘাতক স্বামী জুয়েলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। টুকরাগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।রেহেনার স্বামী জুয়েল জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে রেহেনাকে হত্যা করেন তিনি। পরে শয়নকক্ষে লাশটি দা দিয়ে তিন টুকরা করেন। রাতের আঁধারে নিরাপদ স্থান মনে করে টুকরাগুলো ময়লার স্তূপে ফেলে দেন। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান,ময়লার স্তূপের পাশে একটি বস্তা দেখতে পান জুয়েলের প্রতিবেশী বাপ্পী হোসাইন নামে এক যুবক। পরে জুয়েলের আচরণে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে হাত-পা ও মাথাসহ লাশ উদ্ধার করে। পরে সেটি খুলে ওই নারীর কাটা দুই হাত, দুই পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: