মঙ্গল গ্রহ: নাসার গাড়ি পার্সিভিয়ারেন্স থেকে পাঠানো ছবি ফুটে উঠেছে অদ্ভূত সব দৃশ্য
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২১, ০৪:৩০ এএম
পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে সাত মাস পর মার্কিন মহাকাশ সংস্থার তৈরি গাড়ি পার্সিভিয়ারেন্স গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গল গ্রহে পৌঁছায়। তারপর থেকে স্বয়ংক্রিয় এই গাড়ি থেকে ছবি তুলে পাঠানো হচ্ছে পৃথিবীতে। নাসার মহাকাশযান যেখানে অবতরণ করেছে সেই জায়গার নাম জ্যাযেরো গহ্বর। এটি এই গ্রহের ৪৯ কিলোমিটার ব্যসের একটি বিশাল গর্ত। এখানে দেখছেন রোভার পার্সিভিয়ারেন্স থেকে পাঠানো কিছু নির্বাচিত ছবি। নাসার মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব, গ্রহের গঠন প্রকৃতি এবং তার জলবায়ূর ইতিহাস সম্পর্কে গবেষণা চালাচ্ছে। একই সাথে তারা মঙ্গল থেকে পাথরও সংগ্রহ করছে।
মঙ্গলের চারিদিকে ঘুরছে নাসার যে মহাকাশযান সেখানে থেকে হাই রেজোলুশন ইমেজিং এক্সপেরিমেন্ট ক্যামেরা দিয়ে তোলা প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে রোভার পার্সিভিয়ারেন্স মঙ্গলের বুকে চড়ে বেড়াচ্ছে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাতাসের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাওয়া একটি পাথর। এই পাথরটির নাম দেয়া হয়েছে 'হারবার সিল' - সৈকতে রোদ পোহানো সামুদ্রিক সীল।
জ্যাযেরো গহ্বর, যেখানে পার্সিভিয়ারেন্স অবতরণ করেছে, তার চারপাশের উঁচু জায়গা। এটি বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে।
পার্সিভিয়ারেন্সের ম্যাস্টক্যাম-জেড এ দুটি ক্যামেরা রয়েছে। বাঁ দিকের ক্যামেরা দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। এই দুটি ক্যামেরা এক সাথে কাজ করে এবং মানুষের চোখের মতো কাজ করে।
কয়েক দিন আগে তোলা মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠের ছবি।
ম্যাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা দিয়ে তোলা আরেকটি ছবি। মনে করা হচ্ছে এটি একটি প্রাচীন বদ্বীপের একাংশ। এখানে কয়েকটি পরতে মাটি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে নাসার বিজ্ঞানীরা এখানেই গবেষণা চালাবেন।
রোভার পর্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের ছবি। এখানে কয়েকটি নায়লনের রশিতে বেঁধে পার্সিাভিয়ারেন্সকে মঙ্গলের বুকে নামানো হচ্ছে। গাড়িটির চাকা মাটি স্পর্শ করার সাথে সাথে রশিগুলো খুলে নেয়া হয়।
পার্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের সময়কার ছবি। ভূমি থেকে ১১ কি.মি. ওপরে থাকতেই মহাকাশযানের সুপারসোনিক প্যারাশুট খুলে যায়, যার ফলে ধীর গতিতে মহাকাশযানটি অবতরণ করতে পারে।
জ্যাযেরো গহ্বরের আরেকটি ছবি। এটি তোলা হয় পার্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের আগে। এই ছবির কেন্দ্র থেকে একটু বাঁয়ে এক জায়গায় রোভারটি অবতরণ করে। ডানপাশের উঁচু জায়গাটিকে মনে করা হচ্ছে একটি নদীর বদ্বীপের ভগ্নাংশ। ধারণা করা হয়, এক সময় এখানে একটি নদী ছিল, যার পানি জমা হতো ঐ গহ্বরে। পার্সিভিয়ারেন্স এখান থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে কাঁচের টিউবে ভরে রাখবে। পরে কোনো এক সময় এই নমুনা বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে পৃথিবীতে। খবর- বিবিসি বাংলা।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য: