সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আসামি হলেন সাংবাদিক!

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২১, ১১:১২ পিএম
রাঙ্গামাটিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আসামী হলেন সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় এর সম্পাদক সাংবাদিক মিলটন বড়য়া (৪৪)। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি নিজেই। তিনি জানান, বৃহম্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের চম্পকনগর এলাকায় মারামারি খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় এর সম্পাদক সাংবাদিক মিলটন বড়য়া। পরে তিনি মারামারির তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদও পরিবেশন করেন। কিন্তু সকালে তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পান তাকে মারামারির ঘটনার মামলায় তাকে আসামী করা হল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের চম্পক নগর এলাকায় অন্যের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা হয়। এতে সাংবাদিক মিলটন বড়–য়াকেও এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। থানায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মিলটন বড়–য়ার প্রত্যক্ষ ইন্দনে সকল বিবাদীগণ একত্রিত হইয়া মারপিট করতে থাকে। এবিষয়ে সাংবাদিক মিলটন বড়–য়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মারামারির ঘটনা শুনে সংবাদ সংগ্রহে তিনি ঘটনার মাঝপথে উপস্থিত হন। এতে তিনি কোন পক্ষ বা বিপক্ষকে কোন ইন্দন বা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেননি। এছাড়া অভিযোগকারী নীহার কান্তি দাশ সঙ্গে তার পূর্ব পরিচয় বা কোন সর্ম্পক নেই বলে তিনি। এদিকে রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক নন্দন দেবনাথ সহ রাঙ্গামাটি জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং উল্লেখিত মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত মামলা হতে সাংবাদিক মিলটন বড়–য়ার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। অপরদিকে অভিযোগকারী নীহার কান্তি দাশের কাছে এ ব্যাপারের জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি। এবিষয়ে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মারামারি ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জনৈক নীহার কান্তি দাশ। এতে তিনি ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। তবে কিভাবে সাংবাদিক মিলটন বড়য়ার নাম মামলায় আসলো তা তিনি জানেন না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: