রাজধানীর যেসব রাস্তায় ডানে মোড় নেওয়া বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৫৫ পিএম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত নির্মিত ১০টি ইউটার্ন আজ (শনিবার) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। এরফলে বেশ কয়েকটি রাইট টার্নিং (ডানে মোড়) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ইউটার্ন চালু হওয়ায় নেভি হেড কোয়ার্টারের শাখা রাস্তা, বনানী রোড নং ২৭, বনানী-কাকলী, বনানী রোড নম্বর ১১, মহাখালী আমতলী মোড়, তেজগাঁও কোহিনূর মোড়, লাভ রোড মোড় ইত্যাদি ইন্টারসেকশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে এসব এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনসমূহকে নবনির্মিত ইউটার্নগুলো ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ। রাইট টার্নিং (ডানে মোড়) বন্ধ করে দেওয়ায় কারণে শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে কাকলী থেকে গুলশান ২ নম্বর চত্বরের দিকে মোড় নেওয়ার সংযোগ স্থল বন্ধ দেখে অন্যদিক দিক দিয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নাজিম উদ্দিনের। তিনি বলেন, আমি জানতাম না কাকলী থেকে গুলশান ২ এর দিকে যাওয়ার এই ইন্টারসেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে আমি এই পথ ব্যবহার করতে পারিনি। ফলে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে। পরে জানলাম ডিএনসিসি ইউটার্ন চালু করেছে। তাই এসব ইন্টারসেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব স্থানে ট্রাফিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের কাজ করতে দেখলাম। তারা সবাইকে ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। এর আগে ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানিয়েছেন, ‘ঢাকার তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে উত্তরা হাউজবিল্ডিং পর্যন্ত ইউটার্ন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উত্তরা রাজলক্ষ্মীর সামনে, উত্তরা র‌্যাব ১ অফিস, ফ্লাইং ক্লাব কাওলা, বনানী ওভারপাস, বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ী, মহাখালী আমতলী, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, তেজগাঁও নাবিস্কো মোড় ও সাতরাস্তার বিজি প্রেস এলাকায় নির্মিত ইউটার্নগুলো যানবাহনের ব্যবহারের জন্য শনিবার উন্মুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, এর আগে সর্বশেষ মোট ছয়টি ইউটার্ন চালু করা হয়েছিল। তবে শনিবার সবগুলো একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের শুরুতে মোট ১১টি ইউটার্ন নির্মাণ করার পরিকল্পনা থাকলেও আর্মি গলফ ক্লাব এলাকার ইউটার্ন প্রথম সংশোধনী প্রকল্পে বাতিল করা হয়। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ছিল। তবে প্রথম সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: